আমি মইরা গেলে
আকাশ থেইকা ঐ কাকটারে
ডাইকা আইনা,ঘুম পড়াইয়া দিও।
এই যে আমি চাইয়া চাইয়া দেখতেছি
আমারে ছাইড়া আসা আলোগুলা
হ্যাজাক জ্বালাইতেছে,তোমার ঘরে।
রৌদ্রের ভিতর পেন্সিলটারে দিয়া চামড়াগুলারে ঘষতেছি,
(পরীক্ষা কইরা দেখতেছি কুমির কি না)
সুপারিগাছের ফুলগুলারে ঠোকরায়ে ঠোকরায়ে খাইতেছি,
গলিতে পোলাপানগুলায় কাঠের বল দিয়া
খেলতে গিয়া মাথাটারে ফাটায়ে দিলো
রক্তগুলিরে সরাইতেছি,
ওরা কি আর জানে, আমি কুমির?
তুমি ওদের বইলা দাও নাই তো?
ভয় করে।
খালি একটা কথা কইতে পারতেছি না
আমি মইরা গেলে
আকাশ থেইকা,ঐ কাকগুলারে
ডাইকা আইনা, ঘুম পড়ায়ে দিও।
পারবা নাকি সন্দেহ লাগে
তোমার শুনছি ক্ষমতা কম,তয়
আড়ালে আড়ালে কিছু ক্ষমতার কথা টের পাই।
ওইগুলা মানুষ কেমনে আয়ত্ত করে?
কাকরে ঘুম পড়াইতে গিয়া তুমি কই উইড়া
যাইতে পারো, ঈশ্বরে তোমারে কিসের লাইগা
ক্ষমতা দিলো না—ইত্যাদি,ইত্যাদি বিষয় নিয়া
আফসোস লাগে।
অবশ্য মইরা গেলে আফসোস লাগে কি না এই
বিষয়ে অভিজ্ঞতা হয় নাই।
আবার একটা ভুল কইরা ফালাইলাম,
এই যে আফসোসের কথা কইতেছি
এইটা জাগতে দেওয়া যাইব না।
কুমিরের আবার আফসোস, হ্যাঁ?
রাস্তা দিয়া হাইটা গেলেও বনমানুষের
আলোতে নিজেরে কুমির কুমির লাগে।
ঠোট টা মনে হয় লম্বা হইয়া যাইতেছে
তুমি পাকনামি কইরা তাকে তাকে দাতগুলারে
বসাইয়া দিতেছো,
আমি তোমারে চিবাইয়া চিবাইয়া খাইতেছি,
কেন যে চিবাইতে গেলাম!
পেটের মইধ্যে হজম হইতেছে না।
আচ্ছা, আমি মইরা গেলেও
তুমি আমারে কুমির কইয়া ডাকবা?
কইবা,’কুমিরটা মইরা যাওয়ায় আল্লাহ আমারে বাচাইছে!’