আমি কাকে বলবো-
আমার তো এখানে থাকবার কথা নয়।
এইযে চারপাশে এতো ক্লেদ, রক্ত,
বমি আর থুথুর ভাগাড়, গণতন্ত্রের আবর্জনার সেডিমেন্টের স্তুপে ক্রমেই নাব্যতা হারায় জীবন;
বিভাজিত হতে হতে মানুষ পরিনত হয়েছে ক্যানসারে; ব্যর্থ হয়েছে ধর্মনিরপেক্ষতার অপচিকিৎসা।
আমি কাকে বলবো-
আমার তো এখানে থাকবার কথা ছিলনা।
চারিদিকে ছেড়া ন্যাকড়া, মলিন বস্ত্রে মৃত মানুষ;
হাত পেতে, কখনো দুই পা জড়িয়ে থাকে ভিক্ষুকের দল, রক্তবীজের ঝাড়;
দুর থেকে ভেসে আসে শত শত শুকরের,
শত শত কুকুরের বিভৎস চিৎকার।
আমি কাকে বলবো- আমার কি এখানে থাকবার কথা ছিল?
যারা মরে গেছে ব্যালটে, বুলেটে
তবু যারা থাকতে চেয়েছে বেঁচে কায়ক্লেশে,
তবু জীবনের আস্বাদ লুট হয়ে যায় কলেরায়, ডায়রিয়ায়। ব্যাধি ও ব্যথার বেদিতে মানুষকে বলি দেয়া হয়েছে ধর্মের শাণিত অস্ত্রে,
দানবের প্রশস্ত হাত বাজেয়াপ্ত করেছে
স্ত্রীগর্ভ, যোনি, উত্তরাধিকার।
আমি কাকে বলবো-
আমার কি কথা ছিল এখানে থাকার?
মানবতার সংকীর্ণ হাত আক্রান্ত হয়েছে অনারোগ্য প্যারালাইসিসে।
উইপোকায় নষ্ট করেছে সংবিধান, পতাকা ও মানচিত্র।
স্বপ্ন মরে গেছে, মরে গেছে তুলসী গাছ, সুফলা বাংলা।
প্রেমিকা নিহত, নিহত হয়েছেন ঈশ্বর।
আমি কাকে বলবো- আমার তো প্রাপ্য ছিলনা এই ভোর। আমার উঠান আমারই রক্তে রাঙ্গা, নিষিদ্ধ হয় আমার বাস্তুময়, আমার কপালে বন্দুক রেখে দেশ-
আমাকে দ্যাশ ছাড়তে কয়!