যখন রাত্রির গভীরে হঠাত
হাতটি ছড়িয়ে দিয়ে খুঁজবে-
বুঝবে-
এই বুকখানি কতটা প্রশস্ত ছিল

নাইটকোচে ঘুমে এলিয়ে পড়ে
খামচে ধরতে চাইবে
শার্টের বুক – পকেট – বোতাম-
ঘুম ভেঙ্গে যাবে
নিরাশায় চোখ দুটি বুঁজবে-
বুঝবে-
এই বুকখানি কতটা অটল ছিল
তোমার ভার নিতে

আর যদি কোনও কালে
যমুনার কুলে যাও
আমি আর থাকবো না
এ নদীর ঘাটে
জনে জনে পুছবে-
বুঝবে-
এই কুলে কতখানি ঢেউ ছিলসম্পূর্ণ

সেই কবে আমাদের প্রথম দেখা
প্রথম পরিচয় প্রথম আলাপ
এতদিন পর আজ আবার এসে
চলে যেতে চায় মন সে দিনগুলোয়
কেন যে সে দিনগুলো পেরিয়ে এলেম
ছোট্ট সে জীবনের ছোট ছোট প্রেম

হাসি আর কান্নায় মেশা সে জীবন
কিছু ব্যথা কিছু সুখ কিছু অভিমান
শত রাগ অনুরাগ বিরহ বিলাপেও
একটুকু হাসিতেই ভরে যেতো প্রাণ

সেথা পাতার ফাঁকে ছিল আলোকের দেখা
যত কথা ছিল তাতে সুরের রেখা
যেথা তুমিও ছিলে আর আমিও ছিলেম
ছোট্ট সে জীবনের ছোট ছোট প্রেমসম্পূর্ণ

শুকিয়ে গেছে গুল্ম লতা নাম না জানা
সব পাহাড়ি ফুল
মরে গেছে কাঠ ফাটা রোদে
লেকের পানি নেমে গেছে খেয়া ঘাটে
বাঁশের সাঁকোতে পার হয় জন মানব
মাঝে মাঝে দমকা হাওয়ায় তুলা উড়িয়ে
এসে গেছে জারুলের কাল
তবুও ল্যান্টেনা- কী দারুণ স্নিগ্ধ সুশোভিত
এইখানে ওইখানে পাহাড়ের ঢাল।সম্পূর্ণ

আরো কত দূর আরো কত পথ আছে
ঘুরে ফিরে আমি আসছি তোমার কাছে
এই পথ চির অন্তবিহীন জানি
কন্টক জরা ক্লান্তি বিষাদ ঘানি
ক্লান্তি আমার পরাজয় আনে যদি
তুমি বয়ে চলো আমার তৃষার নদী।।সম্পূর্ণ

আজ কীভাবে যেন হোলো আউলা মতি
কাঁদে তনুমন আনমনে বাউলা রতি

হেরি চঞ্চলা বিহবলা দিলখোলা তার
রূপ বাড়ায়ে দিল বুঝি দিলে হাহাকার

তবু ক্ষণে ক্ষণে হেরি তার নয়ন পানে
বুঝি ধরাশায়ী হয়ে গেনু মদন বাণে

একি আঁখি দুটি নাহি সরে বিন্দু থেকে
যেন তুলিয়া আনিবে খনি সিন্ধু থেকে

আজ যায় দিন ঘুম হারা কাটে যামিনী
আর ওই দিকে চুম হারা কাঁদে কামিনী

এ যে দুটি হিয়া তিয়াসায় করে চিৎকার
তবু ছন্দ না করে করি আ-কার ই-কার

শেষে থরথর উম্মন কাঁপে দেহ মন
বাজে বিনা তারে সঙ্গীতে শ্রী রাধা রমন
সম্পূর্ণ