সংশয় জড়ানো দিপ্তী খুলে ভেতরে আসতেই উল্লাসে
সুদূর গগনে মুক্ত বিহঙ্গের মত অজানায় হৃদ হারাই
বিহ্বল মুগ্ধ নয়ন বুজে পরম শান্তির শীতল পরশে
যেন শত শতাব্দী পারি দেই আঁখির এক পলকেই।
মূহুর্তে ক্লান্তিতে ভগ্ন শরীর জট খোলে শিরা উপশিরা
সূদুর অনুসূচনায় আমাকে আমিই ভেঙ্গে গুড়িয়ে ফেলি
ভয়ে কাতরাতে থাকে অন্তরাত্মা সহ সমস্ত অস্তিত্ব
তৎক্ষণাৎ মনে হয় আমি অশান্ত বড্ড উন্মাদ পাগল।
ক্ষণকালের গন্ডী বেয়ে বরাবর ভবিষ্যতের আফসোসের নহর
সময়ের সীমানা ছাড়িয়ে উন্মাদনা উচ্ছৃঙ্খলতা আরো বাড়িয়ে দেয়।
চৈতন্যতা পরায় শৃঙ্খল,তন্দ্রায় বিভোর করে তার ক্রোড়ে
স্তব্দ করে মম পঞ্চ ইন্দ্রিয় জাগতিক নিয়মের দোহাই দিয়ে।
হুশ ফিরে পাই ক্লান্ত বাঁশির নিদারুণ করুণ সুরের মূর্ছনায়
দুর্বল হৃদয় আবারো আশেকের পরশ খুঁজে দুর্লভ কাননে।
দুর্জয়ের মূর্ছনায় তাণ্ডব নিত্য শুরু করে দুর্ভেদ্য লালসায়
আশা নিরাশার বেড়া জাল ছিঁড়তে চাহে ভুলে মান কুলমান।
প্রতিনিয়ত ভাঙা গড়া কান্না হাসি আর মান অপমানে
ক্ষণে ক্ষণে ইচ্ছে হয় মারি তালা জাগতিক নিয়ম কাননে
অতৃপ্ত যত বাসনা ও সংকোচ সংশয় সমগ্র ঝেড়ে ফেলে
পাওয়ার তৃপ্তিতে বিজয় উল্লাসের সুখ শুধু গাঁথি রাখি জীবনে।
কিন্তু হায় শত চেষ্টায় নাহি পারি সুখ দুঃখ দুটিকে খণ্ডাতে
দিব্যলোকের মত স্বচ্ছ হয়ে জড়িয়ে রাখে স্মৃতি বেদনা মধুর
জিইয়ে রাখে ইন্দ্রিয়ে মম,পুরোনো যত সব ব্যাধিগ্রস্ত যাতনা
বাস্তবতার চাকায় সচল করে আবেগের অস্তিত্ব বিষাক্ত স্মৃতির
চেষ্টা সম শূন্যে বাজানো যুদ্ধ দামামা খোলা তরবারির গর্জন
অহেতুক ভাবনা হেথা সকলই বৃথা মিছে হওয়া শুধু পরিশ্রান্ত
জড়তায় ব্যাপ্তি পুরাবে সকলই যেদিন আসিবে কাল সমন
মায়া মোহের ভাবনা উল্লাস ও যাতনা কিছুরই রবে না আদি অন্ত।