একদিন এক বনের মাঝে
বৃষ্টি এল তেড়েফুঁড়ে,
ব্যস্ত ছিলাম হয়তো কাজে
কথা ফুটল আকাশজুড়ে ।
বৃষ্টি বলে – ‘ ও মা তুমি !
করছ কি হেথায় বসে ?
ভিজাই আমি বনভূমি;
বরফমেঘ পড়ছে খসে ।
যাও যাও ; আর কর না দেরী ;
পড়বে জ্বরে সর্দি লেগে!
আমি ততই কথায় ঘেরি’
ফুটানো কলি উঠুক জেগে।
তাচ্ছিল্যের বন্যা বেয়ে
বৃষ্টি আনে অকাল শ্রাবণ ,
কাজ কি আমার ঘরে যেয়ে
সেখানেও তো এমনি প্লাবন !
আপন মনে কাজ করে যাই ;
আ: ম’লো যা – বৃষ্টি বলে,
গা ভেজাতে করছি যাচাই ;
আমার দু’হাত জোরে চলে ।
আমি বলি – ‘ বৃষ্টিসোনা !
আর কতকাল কাঁদবে বল ,
আমার যে এই কালকে গোনা ;
মন যে আমার টলোমলো !
‘ আদিখ্যেতা ! আর পারিনে!
বয়েই গেছে ভেজাতে আরো,
আমিও কারো ধার ধারিনে ;
এবার তুমি আসতে পারো ।
সাধ করে কি ভিজাও মাটি ;
আসলে তা’ কান্না জানি,
চেপে নিজের দাঁত-কপাটি ;
ভীষণ তুমি অভিমানী ।
যদি বল লিখতে পারি
তোমায় নিয়ে দু’চার কথা,
জানি তুমি নষ্ট নারী ;
জাগাতে চাও মনের ব্যথা ।
লিখবে নাকি আমায় নিয়ে?
দেখি তুমি কেমন কবি !
ঝর্ণা আর পাহাড় দিয়ে
ফোটাও আমার নতুন ছবি।
আমি বলি – তা’ এমন কি !
এ লেখা যে সবাই লেখে ,
মেঘ পাহাড়ের মন কেমন কি ;
জীবন ধারার স্বপ্ন দেখে ?
ভিজাতে পারো চুল চামড়া ;
ভিজাতে পারো শুকনো মাটি,
ভিজাতে পারো মন-দামড়া ;
ভিজাও দেখি এই লেখাটি !
কৌতূহলে হামলে পড়ে ;
বৃষ্টি ঝরে পাতায় পাতায়,
পরিবেশের নকল গড়ে ;
বৃষ্টি ধরি মাথার ছাতায় ।
***************