মানুষ ও প্রকৃতির এত রঙ দেখে,
আমি আজ ভীষন রুক্ষ অর্বাচীন!
ক্লান্ত আমার ভ্রুক্ষেপহীন প্রতিটা পদচারণা।
আমি তাদের মতো একাকী, যারা গাইতো ভ্রমরের গান।
আমার মনে এখনও কোথাও ডাহুক আছে!
উঁকি ঝুঁকি দেয় একটু খাবারের আশায়।
কতো দিন হয় বিশুদ্ধ গন্ধ পাইনা,
যেমনটা তোমার চোখে পেতাম প্রতিবার সঙ্গমে।
আমি তোমার শরীরে স্রোতের অবক্ষয় শুনেছি,
মেপেছি তোমার শরীরের উষ্ণতা!
আমার প্রতিটি জ্বরে খোঁজেছি তোমার স্পর্শ।
মলিন হেসেছি তোমার অস্পষ্ট কথায়…
স্পষ্ট মনে নেই এখন অন্তিম দিনগুলো।
স্মৃতি হাতড়ালে হঠাৎ পাওয়া যায় টুংটাং নুপুরের শব্দ,
বর্ষা মঙ্গল কাব্য শেষে ক্লান্ত তুমি স্থির হয়ে যেতে…
ভিজে যাওয়া কদম ফুলের মতো।
তুমি ধ্রুব, তুমি সত্য!
তোমাকে হারানোর ভয়টাই মূখ্য, বাকি সব গৌণ।
তুমি তাই, যা চেয়ে এসেছে সনাতন-
প্রেমের মানস সরোবর, যেখানে জন্ম ব্রহ্মপুত্রের।