Review This Poem

ধূসর ইস্পাত বিজ্ঞান । ক্ষয়ে যাওয়া চাঁদ মাঝে মাঝে আমাদের নিপীড়িত কুরুক্ষেত্রের সংসারে চাবুকের হাতলে দধীচির হাড় খোঁজে । আমি কাকে অর্ধ দগ্ধ দহন করে আগুনের বন্য পাথরে লাগিয়ে দেবো ঘি গন্ধের সুমধুর জননতন্ত্র ?

এ পথেই আমি নগ্ন বাদাম গাছ খুঁজি এখনো । তার সারা গায়ে তেল মাখিয়ে নগ্ন করাই , উপুড় করে শুইয়ে রাখি আমার বিছানার এক নির্ভরযোগ্য নিস্তব্ধ দূরত্বে । পাপ কি কোনদিন বিক্রি হচ্ছিল হাটে বাজারে ? খোলাম কুচি , গর্তে , সাপের জননাঙ্গ , পিঠে আলগা ব্লেডের ধাতব পৃষ্ঠায় ?
আমি খুন করে মৃত মাছকে লুকানোর না জায়গা পেয়ে সারারাত জুড়ে শুকনো কিসমিস খেতে খেতে রক্তাল্পতার বমি করে উভয় লিঙ্গ পোশাক পরে সলিল সমাধির সন্ন্যাস সেজে দাঁড়িয়ে আছি ঋ-কার মধ্যমায় , ভয়ে ভয়ে ডাকি ঘুম থেকে মৃত সর্পবিজ্ঞানকে ।
খুব অপরাধ করে মাঝ দুপুরে একটা হত্যার দৃশ্য দেখে ফেলে আমি কাউকে সঙ্গমের অপরিচিত অধ্যায়টি বাৎসায়নের তৃতীয় পরিচ্ছদের চতুর্থ শ্লোক ভেবে অর্জুনকে ডাকিনি এই বিষাদ যোগের তৃতীয় মধ্যম রাতে , আমার শরীরেই গন্ধর্বের গন্ধ থাকে ।

অপ্সরাদের খালি গায়ে চকচক করে ধাতুর রস , ইস্পাত বিজ্ঞানের সব ধাতুগুলো জমাট বেঁধে লাল লেলিহান বিক্রি করছে বজ্রপাতের দেশে । এখন কি বোরিয়া অরোয়ালিস নিয়ে নরওয়ের কোন নিষিদ্ধপল্লীতে আমি দু প্যাকেট ৩৫০ ml রক্তের প্যাকেট রেখে যাব গ্ৰে হেয়ার হাসপাতাল সেবিকাদের জন্য । পোস্টমর্টেম হলেও আমার ভি সেপ্ট আন্ডারওয়ার অন্তর্বাসটিতে কোনরকমের ভিসেরা ডিঅক্সি রাইবো নিউক্লিক প্রমাণ থাকলো না

guest
0 Comments
Newest
Oldest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments