সারাটা দিন ক্ষুধার্ত কাকের মত-
এগলি-ওগলিতে বিরামহীন হেঁটে বেরিয়েছি
বুকের মধ্যে দাউ দাউ করে জ্বলছিলো ক্ষুধার প্রদীপ
জ্বলছিলো উপোসী পাকস্থলী, বন্ধ হয়ে আসছিলো হৃদযন্ত্র
দু’মুঠো ভাত চেয়ে দেখেছি বিশ্ব মোড়লদের রক্তচক্ষু
দেখেছি আরশ কম্পিত জঘন্য অবহেলার সাতকাহন
বৃষ্টির সঙ্গ দিয়ে আকাশের সাথে কেঁদেছি সকাল-সন্ধ্যা
অশ্রুজলে প্লাবিত হয়েছিলো গোটা শহর
এভাবেই মুষলধারে বৃষ্টি নামে আমার শহরে
বৃষ্টির সঙ্গ দিয়ে কেঁদে যাই গৃহহীন নিঃসম্বল এ আমি
কিছু কুনোব্যাঙ দেখি ভিজে রোমান্টিক হয়ে উঠে
অথচ আমি রোমান্টিক হয়ে উঠতে পারি না
থরথরে কাঁপছিলো জীর্ণ শীর্ণ দেহ
কাঁথা মুড়িয়ে ঘুমানো হয়নি শান্তির ঘুম
জলোচ্ছ্বাসে ভাসছিলো আমার ফুটপাতের ঘর
অথচ ওরা আলাদা করতে পারেনি আমার চোখের জল।
ইঁদুর গর্ত থেকে বেড়িয়ে আসেনি নির্লজ্জ মানবতা
কপালে চুমু দিয়ে বুকে জাপ্টে নেয়নি ভালোবাসায়
অযত্ন, অবহেলায় কেবলই ভিজেছি ঝরা বকুলের মত
আর অসহায়ত্বের কাছে মাথা নত করে করেছি দুঃখ উৎযাপন।