ওই হরিণী চোখের মায়াবি চাহনি
দিঘল কালো কেশের অবাধ্য ঝাপটা
মুক্তা ঝরা হাসিতে বেজে উঠা পিয়ানো
সৌন্দর্য দ্বিগুণ করে দেওয়া কালো টিপ
বারবার আমাকে হাতছানি দিয়ে ডাকে
মধ্য রাতে ঘর হতে বের করে আনে
তোমাতে ডুবে ভুলে যাই বাড়ি ফেরার তাড়া
ফুরসতহীন তোমার নামের নামতা জপি
তোমার ভাবনায় বেখেয়ালে পড়ে থাকি পথ চেয়ে
আঙুলগুলো পেতে চায় তোমার আঙুলের ছোঁয়া
কাঙাল হৃদয় তোমার চোখের কাজল হবে বলে
রোজই ভালোবাসার জোর দাবিতে
একগুচ্ছ গোলাপ আর চোখভরা কথা নিয়ে
আমার বেলকনিতে গিয়ে ভীড় জমায়
হৃদয়ের অভিধান খুঁজি দেখি একটাই শব্দ তুমি
তোমার হৃদয়ের উঠোন থেকে বলছি
তুমি রুদ্ধদ্বার খুঁলে আমাকে ধৃত করো
ভালোবাসার অপরাধে দিয়ে দাও যাবজ্জীবন সাজা
আমাকে সযত্মে রেখে দাও তোমার হৃদয়ের ফুলদানিতে
মৃত্যু অব্ধি থেকে যাব ভুলে যাবো বাড়ি ফেরার তাড়া
আমি নীড়হারা পাখি তোমার আকাশেরই ডানা ঝাপটাই
নাটাই বন্ধি ঘুড়ির মত তোমার হাতেই উড়ি
আমাকে তোমার হৃদয়ের নীড়ে একটু জায়গা দাও
সন্ধ্যা নামার আগে নাটাই গুটিয়ে টেনে নাও কাছে
তুমি ছাড়া আমার আর কোন গন্তব্য নেই
তুমিহীন জীবন কোকিলহীন বসন্তের মতই জঘন্য
এভাবে আর কত পাড়ি দিবো কোকিলহীন বসন্ত
হৃদয়ের দ্বার খুলে বসে রবো আশার প্রদীপ জ্বেলে
এসো, তুমি এসে আঙুল ছুঁয়ে দাও জড়িয়ে নাও বুকে
তোমার স্পর্শে সারিয়ে দাও বুকের ভিতর না পাবার ক্ষত।