রুটিন মাফিক রেস্তোরাঁর সেই কিনারের নির্জন টেবিলটায়
হারানো বিকেলের মত যৌবনের তীব্র উন্মাদনা নিয়ে
আমরা কেউই হয় তো আর মুখোমুখি হবো না
কফিতে চুমুকের বদলে ভুল করে খুঁজবো না ঠোঁটের উষ্ণ ছোয়া
বৃদ্ধ চোখ জোড়া চাইবে না কারো নিবিড় দর্শন
রাখবো না খোঁপায় ফুল গুঁজে দেওয়ার আবেগি আবদার
বাতায়ন খুলে অপলক চাইবো না চেনা পথের বাঁকে
বারংবার খুলে দেখবো না চিঠির বাক্স আর ফোনের বার্তা
হয় তো আর পার্কের ব্যস্ত বেঞ্চে বসে মেতে উঠবো না
গভীর কথপোকথন আর বাদামের খোসা ছাড়াতে
জোনাক জ্বলা সন্ধ্যায় ঝিঁঝি পোকার গানে মেতে
হয় আর দেখবো না পূর্ণিমার সেই যুবতী চাঁদ
গুনবো না খইয়ের মত ফুটে থাকা নক্ষত্র গুলো
হাতে হাত রেখে পাশাপাশি হেঁটে হয় তো আর
পিছু ফেলা হবে না একের পর এক স্টেশন
নগ্ন পায়ে মাড়াবো না শিশির ভেজা ঘাস
কাকতাড়ুয়ার মত কাঠ ফাঁটা চৈত্রের মধ্যদুপুরে
অসহ্য যন্ত্রণা সঙ্গ করে গুনবো না অপেক্ষার প্রহর
হয় তো অচল মুদ্রার মত সিথানে পড়ে থাকবে রক্তাক্ত স্মৃতি
সাত সমুদ্রের তৃষ্ণায় চৈত্রের মাটির মত ফেটে যাবে হৃদয়
ব্যদনার শরীর ভিজে যাবে ভীষণ অদ্ভুত ঘামে
আমরা সাঁতরাবো অনন্তকাল নিবো লম্বা শ্বাস
পৌষের রাতে শীতার্তের মতই পোহাবো বিচ্ছেদের অনল
বুক খুঁড়ে পুঁতে রাখবো বিষাদের আস্ত আকাশ
দূরত্ব বাড়বে বাড়বে আমাদের ভালোবাসার খুশবু
তবুও বুকের মধ্যে পরম যত্নে পুষে রাখবো অভিমানের আকাশ