তোর শরীর কবে আড়ষ্ট হবে হৈমন্তী জ্বরে ?
তোর উষ্ণ শ্বাসটা
আলোকলতার মত আলিঙ্গন করে আমাকে জড়িয়ে নেবে না হয় সোনালুর ডালে।
তোর মানবীয় যতো ব্যথা মহাবিশ্বের সমান ভর করে তুলে দে আমার কাঁধে।
আমি ভেবে নেই যেন প্রাক্তন প্রণয়িনীর
প্রত্যাখানের পর,
পৃথিবীর প্রচলিত প্রনয় উপখ্যানের প্রতি
যে ঘৃনায় আক্রোশ নিয়ে নীল অন্ধকারে লক্ষ কোটি বছর
ঘুমিয়ে ছিল আমার প্রতিটি কোষ,
ওরা মিছিল করে জেগে উঠুক ,
যেন কোষ গুলো হিমগ্লোবিনের জল ধারার
প্রণয়ের বার্তা নিয়ে ছুটে যায় তোর নিউরন দুর্গে।
এ বসন্তে পলাশ রক্তিম হয়ে ফুটুক
বছর ঘুরতেই পলাশ রেণুর বেজায় অভিমান
যদি অশ্রু হয়ে ঝড়ে,
যদি এক ফোটা জল ছুঁয়ে ফেলে তোর নীল আঁচল
তবে তোর প্রতিটি কোষ জানবে
অনুভূতির কত উর্বর জমিনের জল ছুঁয়েছে
তোর পা।
তুই খালি পায়ে হাঁটতে থাক বুকের ঠিক বাম পাশটায়
রোমান্টিক হাহাকার নিয়ে দাঁড়া গিয়ে চৈতালি উনুনে।
জ্বর নামুক, জ্বর নামুক!
ভীষণ সে জ্বর হাজার বছর ঝুলে আছে পৃথিবীর মানবীদের বিশ্বমাতৃত্ত্ব বোধে !
তুই জ্বরে পুড়েই তবে মেঘ হয়ে যা,
স্নান করে নেই তোর উষ্ণ শ্বাসের অতল সায়রে।
2020-12-13