4/5 - (2 votes)

প্রাক্তন প্রেয়সী,
প্রাক্তন একটি জলন্ত আগ্নেগিরি —ভিসুভিয়াস বা অসুস্থ শব্দ! তুমি কেমন আছো?
এখনো ফিনিক্স পাখির মতো পুড়ো?
আমি তো নিরো নই,বেহালা বাজাইনি কোনোদিন,তুমি ৬৪ খ্রিস্টাব্দের ট্রয় হচ্ছো কেনো!
—-ট্রয় হয়ো না প্লীজ ,বরং সাম্রাজ্যবাদী ঈশ্বরী হও। সেজদা করি!

কম্পাসে তুলে ধরি নাভির নীচের জুঁইফুল —গভীরতা,
যোনিতে ঢেলে দিই আমার ঈমান,নগর,সভ্যতা
ক্লিটরিসে লিখতে থাকি আমার যাবতীয় দুঃখ অভিমান,সুত্র।
পিথাগোরাস হই।

তুমি মেলে ধরো নগ্ন ঊরু, —গ্রাফিতি!
তোমার বুকের তিল যখন লাইটহাউজ অব আলেকজেন্দ্রিয়া,
স্তন বেয়ে নেমে আসে পার্সিয়ান রেড ওয়াইন,মাংস ডুবানো সমুদ্র। ,
ভীষণ দুর্ভিক্ষে মাংসের নবান্ন। —সুগন্ধ।
আমার রক্তে মেসোপটেমিয়া, শীরার ভেতর মহাকাল,দ্রোহ।
আমি তখন তৃষ্ণার্ত দেবতা- দরিদ্র নাভিক।
ফিনিকে মৃত্যু।

আচ্ছা আজকাল যে সুপুরুষের ঠোঁটে ঠোঁট রেখে
মোমের মতো গলে যাও,
শিখাও ভূ-বিদ্যা- জ্যামিতি এবং
ঠিক কতটুকু নীচে ধরতে হয় ২০৭তম হাড়,বিশেষ অর্গান।
সে কি আবিষ্কার করেছে সেই গোপন তিল, অথবা
ঠিক কতটা উষ্ণতায় ঝড় উঠে তোমার উত্তাল সমুদ্রে-
কতটা দক্ষ নাভিক সে? কতকাল ভেসে থাকে!
কতটা কাঙাল তোমার নোনা জলের?

আচ্ছা ঈশ্বরী তুমি কি আদিপাপ নাকি পিংক ফ্লয়েড?
কতটা সংসারী সংসারহীন!
কতটা ভালোবাসা জোটে পাতে,কতটা ক্ষুধার্ত, কতটা উদাস!
কতটা মনে পড়ে আদিকালের তোমার প্রিয় “ভিক্ষুক ক্রীতদাস”।

guest
0 Comments
Newest
Oldest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments