বিগলিত জোছনায় ফুটন্ত গোলাপের মতো নিঃশব্দে তুমি আসো!
প্রেমের কাছে আমি পৃথিবীর সব মহাজাগতিক শাস্ত্রকে,
নিখুঁত কিংবা শুদ্ধ বলতে বারংবার দ্বীধাগ্রস্ত হই।
প্রেম এক জীবন্ত ঈশ্বর!
স্ব শরীরে জীবন্মৃত আত্মাকে ছেড়ে যেতে হয় কখনও বা অমাবস্যাতিথির চাঁদবিণা আকাশের মতো।
লক্ষাধিক জ্যোতিষ্কের ভীরে প্রেম এক চিহ্নিত তারকারাজি, নক্ষত্র
অজানা ব্লাকহোল অথবা মহাশূণ্যের ভূগর্ভ দিঘল বিষলক্ষা মদিরায় মাতাল এক আত্মানুভূতি।
আমি নিশাচর কিংবা ভ্রান্তির আঘাতে আঘাতপ্রাপ্ত ক্ষতচিহ্নে বারংবারতা অগ্রাহ্যকে তুচ্ছ করেছি।
কেবলি প্রেম নয়
নিঃশব্দে কখনও কখনও দুঃখ আসে, স্পর্শ করে বিক্ষত মস্তিষ্ক,
ধমনীতে উদ্বায়ী বাষ্পায়ন হয় প্রতি পূর্ণিমার মধ্যরজনীতে।
ভুলের যত মিথ্যা বাগদান রচিত হয় ভোখা পাকস্থলীতে
দ্যাখা দেয়, গ্যাছে যে দিন অবহেলা,বিভ্রমে।
কথার পিটে কথারা সব যাবতীয় আঘাত আনে নিউরনে, আঘাতের কোন তাড়না পৌঁছায় না মস্তিষ্কে।
অবহেলার যত মিথ্যে কথার আহাজারি ভেঙে-
টুকরো হয়ে পড়ে থাকে হিমানীর বরফকুন্ড।
শিশিরসিক্ত এভারেস্ট এর গায়ে লেগে থাকে
অক্ষত অভিপ্রায় উদাত্ত প্রেম।
প্রেমের কপালে সহস্রবার চুমো খায় মহামতি ঈশ্বর
পবিত্র এক পেন্ডুলামে রচিত হয় প্রেম।
একাগ্রতা,অভিস্মৃতিতে মগ্ন থাকে মহাজাগতিক রহস্যের মতো,
নিঃশোষিত হয় অনুভূতির দেয়াল।
শূন্যতার বুকের লাথি দিয়ে শেষে আলপিনের খোঁচাতেই হারিয়ে যায় মর্মভেদী আত্মা।