5/5 - (1 vote)

আমি খেতে চাইলাম
আমাকে পিজ্জা এনে দেওয়া হলো
আমি অস্বীকৃতি জানালাম।
এনে দেওয়া হলো একখানা বাসি রুটি
পায়ে মাড়িয়ে দিলাম;
তারপর আনা হলো এক বাটি মধু
ছুঁড়ে ফেলে দিলাম
আবারো ভাড়ায় আসলো একটি সুস্বাদু বার্গার
আমি চতুর্থবারের মতো অস্বীকৃতি জানালাম।

আমি বললাম,
খেতে দেওয়া হোক পান্তা মাখানো ইলিশ
খেতে দেওয়া হোক পাটশাক আর বেগুন-শুটকি
কখনো খেতে সুস্বাদু লাগে টাটকা মাছের ভর্তা।
হয়তো জুটবেনা থাইস্যুপ বা ফালুদা-লাচ্ছি
এসে জুটুক
বেয়নেটের তীক্ষ্ণ আঘাত শরীর জুড়ে
মিছিলে মিছিলে যা হয়েছিল ক্লান্ত
বরাবরই ক্লান্ত-অবসন্ন।
বুলেটের সুতীব্র আওয়াজ কানে বাজে সহসা
দেখেছি লেজুড়বৃত্তির আর্মি-পুলিশের মহড়া
যত্রতত্র সেনা ক্যাম্প আর টর্চারে জর্জরিত কমরেড
পিষে দিয়ে গিয়েছিল আমাদের সহস্রবার
অজস্র যুদ্ধ ট্যাংক।
ভেঙে গেছে আবারো বুকের পাঁজর রাবার বুলেটে
লাঠিচার্জে হারিয়েছি সহযোদ্ধা, কাঁদানে গ্যাসে হেসেছে রুমন।

পুরুষ গণহত্যা, নারী ধর্ষণ-নির্যাতন নিত্য-নৈমিত্তিক ব্যাপার
টর্চার সেলে অকথ্য গালিগালাজ আর অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি।
বেয়নেট দিয়ে খোঁচানো রক্তাক্ত শরীরে
পিঠমোড়া করে বেঁধে রাখা অজ্ঞান প্রিয় বন্ধু
বলে উঠে,
বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক-মানুষের মুক্তি আসুক।
চলছে প্রতি প্রহরে
শারীরিক নির্যাতন শয়ন কক্ষে, আহার কক্ষে, অতিথি কক্ষে
এখনো এদেশের টর্চার সেলে পাওয়া যায়
হকিস্টিক, লাঠি, মানুষের হাড়।
হিট দেওয়া ট্রান্সমিটার, ছুড়ি
চোখ বেঁধে ফেলার রশি
আজো তাড়িয়ে বেড়ায় শত শত আবরারদের।

তাই-
ভেঙে যাক পুঁজিবাদের কালো থাবা
গুড়িয়ে যাক শত শত টুইন টাওয়ার-পেন্টাগন
গুম হয়ে যাক ক্লিনটনের ধবল শরীর
ভেসে যাক একে একে বন্যায় লুক্সেমবার্গের
সব আকাশচুম্বী অট্টালিকা।
প্রতিরোধের আগুনে
আসুক সামনে দ্বান্দ্বিক বিবর্তন
তার পদভারে ভেঙে তছনছ হয়ে যাক সাম্রাজ‍্যবাদ।
এমনই নিত্য প্রয়োজনে
বারবার ডাক দেই দেশবাসীকে
স্বদেশবাসীকে বক্তৃতার মঞ্চে কাঁপিয়ে তুলি
এনে দিই এক পেয়ালা দুধের বাটি
আসুক নেমে আরেকটি দেশে সমাজতন্ত্রের
লাল-সবুজ পতাকা।

guest
0 Comments
Newest
Oldest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments