মধ্যরাত্রিতে লম্পটের পদধ্বনিতে কেঁপে উঠে
এই ঘুমন্ত নগরী ;
চারিদিক থেকে শুনতে পাই শ্রথিত আত্মার রোল,
ধর্ষিতার করুণ চিৎকার,লুটতরাজের হুংকার!
আমার ভীতি-বিনিদ্র দু’টি চোখে বাহিরের দিকে তাকিয়ে দেখি,
এই নির্মল উজ্জ্বল ঝিলমিল আকাশটা
কতোটা বিবর্ণ-ধূসর!
গোটা নগরীর শরীরে আলকাতরার মতো কালো প্রগাঢ় প্রলেপ;
দেয়ালে-দেয়ালে আঁকা রক্তের ভীম আলপনা।
রজনীগন্ধার কোন সুবাস নেই,-অবিশুদ্ধ বাতাস,
শুধু ভেসে আসে অর্ধগলিত পঁচা লাশের উৎকট গন্ধ
আমি শ্বাসরুদ্ধ!
জনশূন্য নগরীর রাস্তা-ঘাট দখল নিয়ছে কিছু দলবদ্ধ ‘সকুর’-শৃগাল ;
রাত-শকুনেরা নিয়েছে অলি-গলি লীজ!
আমি এ কি দেখছি, -আমার চিরচেনা জীবন্ত শহরটাকে
অদেখা এক মৃত্যুপুরী মতো ভয়ংকর ;
এমন ভীম দৃশ্যের দর্শনে আমি কেঁপে-কেঁপে উঠি।
হে নগরী, হে ভয়ংকর পুরী!
আমার নিদ্রা তৃষিত দু’চোখে একটুও শান্তি নেই,
নিদ্রাবিহীন অস্থিরতা!
আমি একটু শান্তিতে দুচোখ ভরে ঘুমাতে চাই!
যেমন ঘুমায় নিশ্চিন্তে মায়ের কুলে সদ্যোজাত শিশু !!