মহামান্য ধর্মাবতার,হে ন্যায়ধীশ!
কে ধর্মাবতার,আপনি ধর্মাবতার ?
এই এজলাসে করপুটে নতমস্তকে আমি দাঁড়াবো না!
কেন? আমাকে জিজ্ঞেস করবেননা? আমি বলতে বাধ্য নই!
তবে কি আমাকে জিজ্ঞাসাবাদের নিমিত্তে গ্রেফতার করবেন?
কারাকক্ষের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে নিক্ষেপ করবেন?
বৈদ্যুতিক টর্চার করবেন?
বিশ্বাস করুন তবুও আমি বাধ্য নই!
আমি এক শতাব্দী ধরে দাঁড়িয়ে ছিলাম
প্রতীক্ষিত মূর্তির মতো সুবিচারের আশায় ;
এ-অব্দি কোন সুষ্ঠু ফয়সালা পাইনি।
আজ আমি বড্ড ক্লান্ত, আশাহত নৈরাশ।
মহামান্য ধর্মাবতার,-
আচ্ছা! কাকে ধর্মাবতার বলে সম্ভোধন করছি? আপনাকে?
আমি আর ধর্মাবতার-ধর্মাবতার বলে চিৎকার করবোনা!
নিষ্প্রাণ এই কাটগড়ায় আমার নিষ্পাপ কপাল ঠুকে-ঠুকে রক্তাক্ত করবো না!
আজ আমার পিছনে অদৃশ্য হয়ে দাঁড়িয়ে আছে;
আপামর জাগ্রত ক্ষিপ্ত- বিক্ষুব্ধ চৈতন্য জনতা,
তবে নতুন কোন আরজি দাখিলের জন্য নয়!
এরা এসেছে যুগ-যুগান্তর ধরে যে সত্যকে চাপা পড়েছে মিথ্যার জগদ্দলে,
অনিষ্পত্তি অমিমাংসিত সেই সত্যের অন্বেষায়!
উদ্ধার করতে! সত্য রক্ষকের কাছে কৈফিয়ত চাইতে।
অবশ্য, আমি জানি তা আর সম্ভবপর নয় –
ঐ ন্যায়-দূত সূর্য-সূত রৌদ্রান্তক শনি অবচেতন ঘুমন্ত ;
আর পাশে পরে রয়েছে জরাজীর্ণ অকেজো ঘুণাক্ষর ন্যায়দণ্ড।
অতএব,অচৈতন্য দেবতা আর অসার-ন্যায়দণ্ড আমি মানিনা!
আমি মানিনা কোন বিধিগ্রন্থ? বিধিমালার কোন আদেশ-নিষেধ!
আমি মানিনা ঐ ন্যায়ালয়, ন্যায় যজ্ঞ, ন্যায়-দাঁড়ি ,
সর্বমান্য ধর্মাবতার, আমি আপনাকেও মানিনা!
আমি কিচ্ছু মানিনা এবং মানতে বাধ্যও নই।