যেদিন মেহগনি ফুলের ঘ্রাণ ভুলে গিয়েছিলাম—দ্বিধার জীবনের শুরু ওইদিন থেকে।
গ্লোসি পেপার, রঙতুলি-সরঞ্জাম,
খুচরো পয়সার সন্দেহজনক সম্মৃদ্ধি কি বা অপাঠ্য(!) পুস্তকের ফর্দ—রূদ্ধ করে দিলো স্বাভাবিক যাপন।
গ্রিলের ফাঁক গলে যেটুকু আকাশ দেখি অন্য বাড়ির, পাথরকুচির যে ক’টা পাতায়
খুঁজি প্রাণ কিম্বা ঝরে পড়া মেহগনি ফুলের সুবাসে কাতর হই—ওইটুকই আমি।
বুঝাতে পারি না, নাকি বুঝেও না বোঝার ভাণ করে মানুষ—এই এক দ্বিধায় ক্ষয়ে গেলো জীবন।
পুরোনো রীতিসর্বস্ব ধ্যান আর অলৌকিক শক্তিপূর্ণ আদেশের ঘোরে ক্রমেই আত্মকেন্দ্রিক হয়ে ওঠা—কী দিলো অবশেষে?
দূরত্ব, বিভেদ আর অসহিষ্ণুতা।
এমন নিরন্ন জীবন—খোদার আজীব রহস্য!