আমি বেঁচে আছি হয়তো _
না বাঁচার মত করে।
শরীরের প্রতিটি নিঃশ্বাস পৃথিবীর মাঝে পড়ে
এক একটি দীর্ঘশ্বাস হয়ে।
জানি, এক দিন চলে যেতে হবে ,
যেমন করে শীতে গাছের পাতা ঝরে যায় নিষ্প্রাণ হয়ে।
তাই তো যেন দিন দিন পাশে থাকা পরিচিত মুখ গুলো
জোকারের বেশ ধরে ভয় ধরিয়ে _পালাচ্ছে এপাশ ওপাশ করে।
আমার স্পর্শে যে প্রেমিকার শরীর শিহরণ জাগতো,
আজ নাকি সে স্পর্শে উত্তরের হিমাঙ্কের হাওয়া বয়_;
মুহুত্তে মাঝে প্রেমিকার শরীর বয়ে যাওয়া আগ্নেয়গিরির তাপ
হিমাঙ্কের নিচে নেমে যায়;
কারণ, আমি নাকি এখন প্রাক্তন হয়েছি।
পাঁজরের মাঝে জমে থাকা কষ্টের সাথে গাঁজার ধোঁয়া মিশে_
শৈল্পিক ভাবে তৈরি হচ্ছে প্রতিটা মুহুত্তে এক একটি পিরামিড।
পৃথিবী নামক এই শহরে সকল চুড়ুই প্রথম হবার রেইসে ব্যস্ত।
আমিও আছি! তবে শেষ লাইনের প্রান্তে।
আর দেখছি, কত চুড়ুই ইট পাথরের দেয়ালে ধাক্কা খেয়ে লুটিয়ে পড়ছে তলে।
আমি না হয় প্রথম হবো না !
পরিচিত মুখ গুলো আর থাকবে না!
প্রাক্তনের স্পর্শ হারাবো!
তবে, বেঁচে তো থাকবো ।
পরিচয় হবে নতুন মুখের সাথে_
প্রাক্তনে জায়গা দখল দিবে নতুন প্রেমিকা।
মৃত্যু তোমাকে অনেক ধন্যবাদ,___
আমাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য!