আকাশের তারা মর্ত্যে নেমে, আনমনে
আপন ঠিকানা খোঁজে আলোর ভেলায়।
মৃদুজল ভেজা বায়ু, হেমন্তের শীত
কিংখাবে মোড়ানো মায়াবী রৌদ্রস্নান,
কতবেলা কতকাল কত হেলা ফেলা
হিরন্ময় শুকসারি পদচিহ্ন আঁকে।
তাজমহল জড়ানো বেদনার বাষ্প
অস্ফুট অমল ফুলে ভুলের প্রলেপ
জীবন জোয়ার জলে ভাটার বেদনা
ঘরের কোনের কানাকানি,অহর্নিশি।
তথাপি সুখের তাপ, আনন্দ আহ্লাদ
আলোমাখা ভোরে সুখের অমনিবাস।
মোহময় ঠোঁট জোড়া চেতনার চোখে
আলো জ্বেলে, আবেশের আশ্রয় ভেবে,
সাত-সমুদ্দুর তের নদী পারে ভিড়ে।
ভ্রান্তি-শ্রান্তি হানাহানি আর ঘোলাপানি,
মৎস্য শিকারী এক সংসার সাগরে
কষ্টের কষ্টিপাথরে গড়ে স্বর্গ সুখ।
জীবন বহতা নদী, বয় নিরবধি
নিষ্ঠুর নিয়তি খড়কুটো, হাপিত্যেশ
বাসুকি বাতাস হায় বহে আশপাশ।
‘সুখের লাগিয়া এঘর বাধিনু’-তবু
দুখের অনলে পুড়ে জায়া আর পতি
শয়নে শিয়রে রাখে সোনালি কাবিন।