খার্কিভের-কিয়েভের পথে ঘর ছাড়া, ঘর পোড়া মানুষের সুদীর্ঘ মিছিল ; হাতে লাগেজ-ব্যান্ডেজ, শিশুরা মায়ের বুকে, রোগীরা স্ট্রেচারে
জীবিতেরা ভীত, আহাজারি অন্দরে-বন্দরে।
সজনের কান্না,অনাহারী শিশু,অবহেলা সৎকারে
জীবনের আর্তি, সারি সারি শ্মরনার্থী সীমান্তজুড়ে।
শপিং মল-চার্চ-স্কুল, বিদ্ধস্ত ব্রীজ, ভোজনালয়
শুন্য কোঠা-অট্টালিকা, লোকহীন লোকালয়।
পুড়ছে ঘর-নগর-হাসপাতাল,সবুজ বৃক্ষরাজি,
নীলাকাশ ছুঁয়ে ধোঁয়া, আগুনের ফনা
ছারখার সংসার-অংগার,গুলি, মিসাইল বোমা
অস্ত্র কাঁধে কিশোর-যুবা-জেলেনেস্কিরা যুদ্ধে।
ডাক্তার-প্রকৌশলী যুদ্ধসেনাদের পাশে
শিশুরা কান্নায় পিতার যুদ্ধযাত্রায়
স্ত্রী কান্না লুকায় স্বামীর যুদ্ধযাত্রায়
দেশকে-মৃত্যুকে ভালোবেসে, মৃত্যুর ওপারে যায়।
কৃষ্ণসাগরের তীরে অলিভিয়া বন্দরে আটক
বাংলার সমৃদ্ধি; হঠাৎ রকেট বোমা,
লণ্ডভণ্ড-হুড়োহুড়ি, নিষ্ঠুর নিয়তি,
ফোনে বলে হাদিসুর ‘বাবা ভালো আছি’
ভালো নেই হাদিসুর, চলে গেছে মৃত্যুর ওপারে,
ভালো নেই পিতামাতা,ভাই বোন-থাকেনা কখনো।
হাজার বছর ধরে, ইতিহাসে-ভূগোলে-সংস্কৃতিতে
রুশী-ইউক্রেনীয়রা সহোদর-সহোদরা সত্য,
তথাপি হৃদয়হীন, প্রেমহীন কিছু মানুষবেশী শকুন
পৃথিবীর মানব জাতির ক্ষয়ের বলয়ে মত্ত।
কেন ভাই-ভায়ের বুকে ছুরি মেরে করে উল্লাস?
পৃথিবী প্রেমের নীড়,ভালবাসায় সিক্ত নি:শ্বাস।