সুখের ঠিকানা খুঁজি-যাযাবর পাখি,
বাল্যের নাটাই ঘুড়ি, কিশোরীর ছল
উদোম উতলা ঢল, গোমতীর জল
ধানখেতে সবুজের ঢেউ, নেই কেউ।
শহরে সায়রে একঘেয়ে শূন্যপুরী
ঝাড়বাতি,ঝুলে পড়া মাকড়সা জাল
সভ্যতার সোঁদা ঘ্রান নিয়ত নিঃশ্বাসে
হৃদয়ে মগজে, আর্তনাদ অবসাদ।
মেঘের আড়ালে সূর্য, সূর্যের আড়ালে
অন্তহীন পথ,পাদটীকা মরিচীকা।
পথের আড়ালে বাড়ি-বারান্দার সিঁড়ি
তিলেতিলে গড়া ঘর, হাজার বছর
ধীরেধীরে নোনাধরে, পড়ে পলেস্তারা
আকাশ পৃথিবী ছুঁয়ে শুন্য ধ্যান-জ্ঞান।
মানুষের মানবীয় পথ,পরিক্রমা
শেষ ধাপে শুভঙ্করী ক্ষুদ্র এপিটাফ।
সুখের লাগিয়া এঘর বাধিনু হায়
জ্ঞানদাস কহে ‘অনলে পুড়িয়া যায়’।