মধ্যরাতের মাতাল দখিনা হাওয়া উড়ে উড়ে
কার্ণিশ-জানালা ছুঁয়ে শিস দিয়ে ঢোকে ঘরে
আলতো পায়ে হেটে হেটে বিছানায় ওঠে,
পা বেয়ে বেয়ে অদূরে বিলি কাটে,
ভেজা চুলে চোখে মুখে বৃষ্টির ছাট ফেলে
বুকের বা পাশে কান পেতে শোনে লাব-ডাব-লাব।
কাল অমন মধ্যরাতে কেউ নয়,
কেবলি মাতাল হাওয়ার ডাকে ঘুম ভাংগে।
রূপোলী চাঁদের নরোম নরোম আলো
জানালায় উকি দেয়, ঘরে-বিছানায়।
আমাকে জাগাও, বৃদ্ধজনে দেহ প্রেম
তোমার চুমোয় মাদকতা, নাভিমূল পদ্মফুল
আমি ব্যগ্র হাতে ছুঁই, এবয়সে হায়
অসময়ে ঝড়ে যায় উন্মত্ত বকুল।
কেউ পাশে নেই, আছে শুধু ঘাম ঘ্রান
ভালবাসা ভালো নয়, ভবঘুরে মেঘ
চাঁদের আলোয় আঁধারের শতরঞ্জি,
মাঝরাতে নীলাঞ্জনা বলে, আজ যাই।