সাঁঝের বেলা কেমনে কাঁটে সময়?
শুন্যতায় ভরা শহর-বুকের ভেতর;
হয়তো,রাতগাড়ি ঝক ঝক ট্রেনের মতো—
সুযন্ত্রণায় পেরিয়েছে—
‘নাইট্রোজেন জনিত মগজের’।
ধরণীর খড়ায়,মৃতপ্রায় জঙ্গলা থেকে—
ঊড়ে আসা—’মড়মড়ে হিজলের সবুজ-সতেজ ঝড়া-পাতা’।
তার,জীবনের স্মৃতিবিলাপ দাগ রেখে যায়
অমর-কলমের ডগা থেকে নিরুদ্দেশ কথা—
অবিরত জায়গা করে নেয়;অস্পষ্ট খাতায়।
দুপুর বেলার—বৃষ্টি কিংবা রোদ্দুর;
কিছুদিন পরপর—’আবহাওয়ার পরিবর্তন’।
‘সড়ক-মহাসড়ক পেরিয়ে,
তবু ঠিকানা অচিন—মনে নেই আজ!
কোথায় নিজের ঘর’?
প্রতারণা—বিশ্বাস ধ্বংসের অস্ত্র।
প্রতারিত প্রানেরা হারায়—বস্ত্র!
নির্মমতা গায়ে মাখিয়ে দেয় রক্ত-ধূলো;
ঈশ্বর-প্রদত্ত জীবনও হয়—
শিশু-কিশোরের;শখের-খেলনা।
সন্ধ্যা নামার আগেই—
অন্ধকারে ঢেকে যায়,
আত্মবিলাপের খাতা।
মনে হয়—এখনও;
লিখার বাকি আরও
অনেক-কথা।
কিন্তু,মনটা—কে চুরি করেছে?
আজও,তাই মনের অনুসন্ধান করে।
বলপেনের কালিতে নয়—
জীবনের কথা রক্ত দিয়ে লিখা।
হায়—’হিজলের সবুজ-সতেজ
অসময়ে ঝড়া পাতা’।
স্ট্যান্ড-স্টেশন,ফুট-পাত,গ্রামীণ হাট-বাজার,
শহর-নগর-মফস্বল থেকে বিমানবন্দর—
সবখানেই তার ঠিকানা।
ধরণীর খড়ায়,মৃতপ্রায় জঙ্গলা থেকে—
ঊড়ে আসা—
‘মড়মড়ে হিজলের কাঁচা ঝড়া-পাতা’।