ফাল্গুনের পরে—বাদামী পাতার চোরাবালিতে;
আমি ডুবে গিয়েছিলাম,সেখানে দেখেছিলাম—
নিস্তেজ মরিচীকার গর্ভে লেগে আছে আমার পিট
মরা অরণ্য থেকে ভেসে আসা—যেসব,ঝিমানো পোকারা সূর তুলেছিলো আগাম ভাবনার গানে,
সেইসব পোকা আজ বিলুপ্ত;-হয়তো,কোন্ এক দল বাঁধা পরিযায়ী ক্ষুদার্ত পাখিদের পাকস্থলীতে!
ঠিক সেভাবেই—আমি কাটিয়ে এসেছি কতগুলো- বসন্ত,অপরিপক্ক দুশ্চিন্তারা পরিপক্ক হওয়ার পূর্বে।
এই ব্রম্মান্ড যে’দিন অভিশাপের ক্ষোভে-দুর্ভিক্ষের বোঝা মাথায় নিয়ে ধ্বংস হওয়ার দিকে,আমি তখন বেঁচে থাকতে চাই।সব মরে যাওয়া বৃক্ষদের ভিড়ে,বনবিড়ালের মতো—আবারও নিশাচর হয়ে ছুটতে চাই বাঁশবনে পাখির নীড়ে।
বুঝার মতো কেউ নেই—কেন এই হন্য মন্ত্র?
কারণ,সুন্দর পৃথিবীতে আমরা মানুষেরাই একদিন বুনেছিলাম পাপের বীজ!অঙ্কুর ফোঁটার পরে— আমরাই মেতেছিলাম হাস্যরসে”গুনাহ’র চারা আজ বয়স্ক-দীর্ঘ আমাদের!তবুও,আমরাই যেন দেখতে চাই পতনের তামাম খেল।
কেন আমার জন্ম হলো না মরিচীকার গর্ভে?
আমি কেন সেই অরণ্যের ঝিমানো পোকার মতো পৃথিবীতে আগমনী প্রাণী হলাম না?
মানুষ হয়ে জন্মেছি বলেই মানুষ ও পৃথিবীর লড়াইয়ে পৃথিবীর পক্ষে থেকে সংখ্যালঘু হলেও দোষ ছিলো না।কিন্তু,মানব ধর্ম পেয়েছি বলেই পৃথিবী’র পক্ষে থাকা হয়ে ওঠে না।
তবুও আমি পৃথিবীর সাথে দিন কাটাই প্রতিদিন।
পৃথিবীর সমাপ্তি’তে দাঁড়িয়ে