নিয়মিত-যাপিত-জীবন
উনুনের আগুনে জলছে চায়ের কেটলি,উড়ছে ধোঁয়া,চলমান সন্ধ্যার ফুটপাতে শহুরে জীবন।
হন্যে ইঁদূরের বাঁচতে চাওয়ার কৌশল—
বিড়ালিনীর রাগী মূখের ধারালো দাঁত থেকে।
পাশের কলোনি থেকে ভেসে আসা ঝগড়াঝাটি,
নোংরা বিস্কুট ঘিরে ক্ষুদে-পিঁপড়ের লাইন;
তিন টাকার সিংগারা,মসজিদের আজান—
হারানো,ভুলে-যাওয়া,ফিরে পাওয়ার অনেক মানুষ
রাস্তা ছেড়ে সরে দাঁড়ানো,ঘুরে দাঁড়ানোর তাগিদ;
রাগ-অভিমানের দীর্ঘ ছুটি—পাহাড়ের বুক খুড়ে
দল বেঁধে অলীকতার অনুসন্ধান,সম্মতি-অসম্মতি,
স্বপ্নহীনতার রুগ্নতায় ভরা বিছানায় ঘুমানো হৃদয়।
ট্রাফিক হর্ন,আ্যম্বুলেন্সের সাইরেন শুনে;
অভ্যস্ত থাকা প্রতিদনের কানে ঝুলানো— হেডফোন,জেলখানার কয়েদিদের জীবন!
রোদে পাঞ্জাবি শুকানোর অপেক্ষা,শুক্রবারের জুম’আ।প্রতি সপ্তাহে নিয়ত পাল্টানো,একটা একটা করে সিগারেট শেষ করা।