কেন আমাদের জন্ম গ্রিসের কোন এক শহরে হলো না?
কেন আমি গ্রিক দেবতা হলাম না?
কেন তুমি গ্রিক দেবী হলে না?
নদীর পাড়ে রঙ-সাগর বেয়ে বেয়ে চলে গেলো
এক টুকরো হাড় আর অস্থি মজ্জা।
নতুন গাছের জন্ম হলো কয়েক বছর পর।
তবুও অধিকার ব্যাতিত অবহেলার ভার বেশি।
কেন আমাদের জন্ম হলো না আমাজনের পাশে?
কেন আমাদের ঘর হলো না পাহাড়ের দেশে?
কেন গভীর রাতে বন্য-প্রানীর ডাকে ঘুমের ঘোরে জড়িয়ে ধরলে না?
পাপ-পূণ্যের বিচারে ভাগিদার সবাই সর্বত্র
তবুও কি সব ভুল অমার্জনীয়?
অসুরের ভুলও ক্ষমা পায়
ক’জনেরই বা জীবন বৃথা যায়?
কেন আমাদের জন্ম হলো না ক্যাঙ্গারুর দেশে?
কেন আমাদের ঘর হলো না কোন হ্রদ এর পাশে?
কেন দাবানলের ভয় তোমার রাতের শেষে?
স্বচ্ছ পানি আর সাদা গ্লাসের ন্যায়
তোমার হাতে সব সমুদয়।
আপন না হয়ে, হয়ে গেছি পর মানুষ
তুমি বিনা হারাইছি সর্ব হুশ।
কেন আমাদের জন্ম হলো না টেক্সাসের পাশে?
কেন আমাদের ঘর হলো না সুন্দর শহরের দেশে?
কেন এত রুপ তোমার পার্বতীর বেশে?
দ্বার খুলে দিয়ে যায় না কি?
ফিরে আসা যায় না কি?
আপন গতিতে চলেছ তুমি
আমার হাতটা ধরা যায় না কি?
কেন আমাদের জন্ম বরফ বেষ্টনীতে হলো না?
কেন আমাদের ঘর জলের তলে হলো না?
কেন আমার নয়ন স্থির তোমার উপর?
সবুজ পাতার মত সতেজ অবস্থায়
চোখের মায়া, তোমার মায়ায় জড়িয়ে
দিক দিগন্ত ফেলে এসেছি ছাড়িয়ে
ভালোবেসে সবাই কি হয়েছে অসহায়?
কেন আমাদের জন্ম মিশরীয় দেশে হলো না?
কেন আমাদের জন্ম মরুভূমির পাশে হলো না?
কেন তুমি বালুর ঝড়কে ভয় পাও?
নীল আবরণে, বিষকে ছাড়িয়ে
আপন ভুল মানা বড় দায়!
আলোকহীনতা বুঝা যায়
কেউ কেউ অগ্রীম সূর্যাস্ত দেখতে পায়।
কেন কষ্টিপাথরেও সঠিক খুঁজে পাওয়া যায় না?
কেন আমাদের জন্ম চাঁদের ভুমিতে হলো না?
কেন আমাদের কোন ঘর হলো না?
কেন আমায় ভালোবাসলে না?
কেন আমাদের প্রেম হলো না?