আদিশক্তি থেকে সূচনা হয়েছিল।
কাল-ক্রমে তা মহাদেব, ব্রাহ্মদেব আর বিষ্ণুদেবের অবতার।
এক হতে সৃষ্টি আবার একাত্মতায় তা বিলীন।
আদিশক্তির কামনা-বাসনায় ভূ-লোকের অস্তিত্বের রচনা।
আপন-শক্তি করে দান ভোলানাথের কাছে সমর্পণ।
চক্রাকার আর পদ্মফুলের চোখের-মনি হয়ে পৃথিবীতে।
শর্তে আসিব, হইব তোমার অনন্তকাল চলিবে মোদের বিচরন।
যুগে যুগে, কালে কালে, মহাকালে অসুরের বিচরণ।
নিজের দায়িত্ব পালন করিবে সৃষ্টি আর বিনাশে।
জন্ম নিব মনুষ্য সমাজে করিব পাপের নাশ।
দুর্গা-পার্বতী যা-ই বলে ডাক পাবে মোরে সর্বদা।
ঘরে আসিব, জলে ভাসিব আনন্দে বিমোহিত সব।
কৃষ্ণের লীলায় সবই দেখিবে করিবে না কভু পর।
রাবনের দশ-মন্ডুর সর্বেসেবা এ মোহ।
যে পরেছে সে মরেছে রামের বন্দনাবাক্যে।
হনুমান ভাবিয়া করিও না ভুল! কারও ক্ষেত্রে সে লক্ষনও বটে।
অর্জুনের মৎস্যচক্ষুভেদ দেখে মনে হয় বীর।
স্ব-অবস্থানে সবাই-ই পাঁচ-পান্ডবের মাঝে বিরাজমান।
এ ক্রিয়া চলিবে অনন্তকাল, পরিশেষে শিবের ইশারায় যাবে সর্ব-প্রান।