তোমাকে ছুঁতে না পাওয়ার ক্ষোভে
আমার চোখের বিদ্রোহী নদীতে
জমে আছে কিছু খুচরো বিপ্লব।
পায়রার পায়ে তোমার বাদামি চোখের বর্ণনা
গুঁজে না দিতে পেরে আমার লোমদেশ
মাদকাসক্ত হয়ে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছে
অগণিতবার।
তোমার শূন্য বুকের বিষন্নতা গ্রাস করতে না পেরে
বাগানবিলাসের শুকনো পাতা হয়ে ঝড়েছি
সন্তান হারানো মায়ের আর্তনাদের বুকহাড়ে।
তোমার নুপুর চরণের সুখ শ্রবণ করার জন্যে
অস্তগামী সূর্যের ছায়াতে প্রতীক্ষারত
প্রমিথিউসের মতো দাঁড়িয়ে ছিলাম
পুরো সাতটি শ্রাবণ।
উষ্ণ চাদরের তলে তোমাকে শিহরিত না করতে পেরে
বিমর্ষ গোধূলির সমুদ্রে নিজেকে তলিয়ে দিয়েছি
চিলেকোঠা সিপাহির রূপে।
বাস্তবতার নকশীকাঁথায় তোমায় মায়ার সুতোতে বেঁধে
রাখতে না পেরে—আমার উজ্বল্ল অনুভূতিতে
নেমে এসেছে নীল অন্ধকার।
এবং পরিশেষে তোমায় না পেয়ে
একফালি স্যাঁতস্যাঁতে চাঁদ আমার হয়ে
এই’কবিতার প্রতি প্লট অক্ষরে লিখে রাখছে
তার পুরো এক জীবনের হাহাকার।