তুমি চলে যাওয়ার পর কবিতা লেখা হয়েছে
শখানেক; তবে তোমায় লেখা হয়নি!
তুমি চলে যাওয়ার পর বুকের দুর্ভিক্ষে হাজারো শব্দ এনেছিলো গহন রাত্রির নির্জন পাখি,
তা দিয়ে তোমায় লিখতে চেয়েছিলাম নবজাতকের
হাসিতে লুকিয়ে; তবে হৃদয়ের মাঝে কালো ছন্দ সাজিয়ে
আমার সুনীল বিষাদের বিক্ষোভগুলো
তোমায় লিখতে দেয়নি।
আমি ফুটপাতের পড়ে থাকা ধর্ষিতার ছিন্নবিচ্ছিন্ন
দেহ থেকে কুড়িয়ে পেয়েছিলাম অজস্র হাহাকারের অক্ষর
অতঃপর অন্ধকার গিলে খাওয়া করিডোরে বসে ভেবেছি লিখবো তোমায়; তবে আমাদের বিচ্ছেদের আর্দ্র রজনী
কসাইখানার রক্ত স্রোতের মতো এসে কেড়ে নিয়েছিলো
আমার গহীন শোক লুকানো কলমটি,
এরপর—তোমায় আর লিখতে পারিনি।
তোমাকে লেখার জন্যে নেক্রোপলিসে হামাগুড়ি দিয়ে
চুরি করে এনেছিলাম আত্মহত্যাকারীর শেষ চিঠির বাক্য
এরপর—বুকের প্রশান্ত মহাসাগরের গহ্বরে ডুবে
তোমায় লিখতে বসেছিলাম বিলাসবহুল বিষন্ন টেবিলে,
কিন্তু বুকের ভেতরে ছারখার হয়ে যাওয়া মৃত নাবিকের
প্রাণ তোমায় নিয়ে লিখতে দেয়নি একটিবারো।
বিশ্বাস করো প্রিয়তমা আমি সময় পিশাচের সাথে
বিক্ষোভ করে তোমায় লিখতে চেয়েছিলাম শত হাজারবার,
বুকের ভেতর জেগে থাকা নীরব জ্যোৎস্নায়, ক্লান্ত বর্ষায়
আমি তোমায় লিখতে চেয়েছিলাম ঘৃণাহীন শ্বাসে
তবে এই শহরের রংহীন সূর্যমূখীর দল তোমার
নিকৃষ্ট রূপ দেখিয়ে তোমায় আর লিখতে দেয়নি।
আমার কি দোষ বলো প্রিয়তমা তাতে??