আমি না হয় মধ্যরাতের কবি হই
রাতজাগার তীব্র মনস্তাত্তিক সুখে
মানবজীবনের গল্প লিখি
দু’দন্ড কবিতার পাল্লায় নিয়ে!
মানবজীবন-গল্প,মধ্যরাত-কবিত্ব
সব যেন গুলিয়ে যায়
মধ্যরাতের তীব্র অমানিশার ঘোরে।
তবুও জীবনের আলেখ্য হারিয়ে যায় না
কালের কালক্ষেপণে-
শুধু মধ্যরাতের কবিরা জেগে থাকে বলে
এক টুকরো কাগজ-কলম নিয়ে।
কি থাকে ঐ মধ্যরাতের কবির ভাবনার কাগজে?
কিছু গল্প,কিছু স্মৃতি,কিছু বাস্তবতা
কিংবা মধ্যরাতের মনস্তাত্তিক সুখের গল্প!
আমি না হয় মধ্যরাতের কবি হই
মধ্যরাতে রাতজাগার ফলে
তীব্র ক্ষুধায় জ্বালায় পড়ে
কবিতার সুখ ভুলে ক্ষুধার্ত আর্ত-মানবের গল্প লিখি।
যে গল্প শুনে না কেউ,
যে গল্প জানে না কেউ,
যে গল্প বলে না কেউ!
আমি যদি মধ্যরাতের কবি হয়ে
মধ্যরাতের পরে মধ্যবিত্তের কথা না লিখি,
তবে আমি যে কবিতার কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে!
আমি না হয় মধ্য রাতের কবি হই
আর রাতের আঁধারে ঘটে যাওয়া
সকল লুটের গল্প লিখি
কবিতার ছন্দে ছন্দে!
কি থাকে সে লুটের গল্পে?
থাক!না বলি না হয়,
নতুবা ক্ষমতার কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে!
আমি বরং মধ্যরাতের কবি হই।