বৃষ্টি পড়ছে
টিনের চালে শব্দ হচ্ছে
বসে আছি একা অন্ধকার ঘরে
দরজায় হেলান দিয়ে,
হাতে কলম আর এক টুকরো কাগজ নিয়ে।
ফ্যান ঘুরছে-শো শো শব্দ হচ্ছে,
ঘূর্নির শব্দ।
দরজার পর্দা নড়ছে-এপাশ ওপাশ,
মৃদু বাতাসে বৃষ্টির গন্ধ নিয়ে!
বৃষ্টির বেগ বাড়ছে-
আমার কলমের গতি রোধ হচ্ছে,
আমি থেমে যাই।
শব্দ শুনি!
বৃষ্টির শব্দ,
টিনের চালে বৃষ্টির শব্দ,
ফ্যানের শো শো শব্দ।
ইচ্ছে করছে কলমের গতি আরো রোধে-
উদাম গায়ে খোলা আকাশের তলে গিয়ে
দুহাত মেলে আকাশের পানে চেয়ে
বৃষ্টি খাই,
টিনের চালে বৃষ্টির শব্দ খাই,
ফ্যানের শো শো শব্দ খাই,
কাগজে কলমের খস খসের শব্দ খাই!
কিন্তু পারি না-
বরং এরা আমাকে খায়;
খুবলে খুবলে খায়।
কবিতাও বৃষ্টির সাথে মিলে
আমায় গ্রোগাসে গিলে খায়।
আমি জেদ করি-
বৃষ্টিও আরো জোরে নামে
আগের চেয়ে জোরে!
শব্দের তীব্রতা বাড়ে,
ঝুমমম….!
এবার টিনের চালের ছিদ্র বেয়ে বৃষ্টি পড়ে
টুপ!
কবিতার পাতা ভিজায়।
কবিতার মানচিত্র ভিজে একাকার
কবিতা প্লাবিতা হয়ে যায় বৃষ্টির বানে!
তাতে আমার কি?
আমি কবিতায় বৃষ্টি পড়ার শব্দ শুনি।
বৃষ্টি অভিমান করে বসে-
ছিদ্র দিয়ে বৃষ্টি বেয়ে পড়ে আমার গায়ে
শিহরিত হই,
উঠে দাঁড়াই!
কবিতার কাগজ দিয়ে ছিদ্রের দিকে মেলে ধরি,
এই যদি বৃষ্টি রোধে।
রোধ হউক বা না হউক
তাতে আমার কি?
আমি বৃষ্টি খাই,
টিনের চালে বৃষ্টির শব্দ খাই,
কবিতায় বৃষ্টি খাই!
2020-06-02