হোমো সেপিয়েন্স আজ বিতর্ক-বিশৃঙ্খলায়
মত্ত হয়ে ভুলেছে মনুষ্যত্ব।
তাইতো স্বার্থ স্বীদ্ধির মতবাদে
দিচ্ছে ঢেলে একেকজনে
‘হেইট স্পিচ’ এর বক্তব্য!
কেন ভাই এত বিবাদ তব
যতসব ঠুঁনকো বিষয়েও?
তুমি মানুষ হয়েও হইলা না
কেন সর্বশ্রেষ্ঠ?
সর্বশ্রেষ্ঠ হয়েও বুঝো না কেন তুমি
দ্বিপক্ষীয় খোঁড়া যুক্তি?
বৈপরীত্যের পৃথিবীতে দ্বিপক্ষবাদ থাকবেই
এ এক চিরসত্য।
দ্বিপক্ষ ছিল,আছে,থাকবেই
এ পৃথিবীর প্রতিটা ভাজে ভাজে
সকল বাদের রন্ধ্র রন্ধ্রে।
তাই বলে তুমি-আমি-সে করিব কথা কাঁটাকাটি?
বাদ-বিবাদের পক্ষ নিয়ে?
তুমি সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ তবে,
তোমার মস্তিষ্কের নিউরন লক্ষ কোটি
তুমি বুঝো বাদ আর বিবাদ;
তবুও কেনো এত সংগাত?
বাদ এর মানুষ তুমি
থাকো বাদী হয়ে বিবাদের বিরুদ্ধে,
বিবাদের মানুষ তুমিও
থাকো বাদ এর বিপক্ষে।
তোমরা তোমাদের নীতি-রীতি
ফলাও পৃথিবীর বক্ষে স্বতন্ত্রভাবে;
যে মানার,
যে বুঝার,
যে উপলব্ধি করার,
সে করবেই।
এতেই শান্তি তব
যতসব বিবাদ ছাড়ো,
আসো এক সুরের
এক বাদের ধরণীর মাঝে
হাতে হাত রেখে
সব বিবাদ ভুলে!
আমি ভাই সাধাসিধে মানুষ তব
বুঝি না প্রগতিশীলতার ত্বত্ত্ব;
তাইতো আমি ঢুঁ মারি না
পক্ষে-বিপক্ষের রমরমা তথ্যে!
আমি জিগায়
প্রগতিশীলতার ত্বত্ত্ব;
আর ছফা উত্তর দেয়,
“যারা মৌলবাদী তারা শতকরা একশো ভাগ মৌলবাদী।কিন্তু যারা প্রগতিশীল বলে দাবী করে থকেন তাদের কেউ কেউ দশ ভাগ প্রগতিশীল, পঞ্চাশ ভাগ সুবিধাবাদী,পনেরো ভাগ কাপুরুষ,পাঁচ ভাগ একেবারে জড়বুদ্ধিসম্পন্ন।”