নব্বই দশকের প্রেমিকের মতো তোমার সাথে হাঁটতে চেয়েছিলাম বৃক্ষরাজির তলে
চেয়েছিলাম ভাসতে দু’জন ডিঙি করে আড়িয়াল খাঁর জলে।
নব্বই দশকের প্রেমিকের মতোই চেয়েছিলাম বৃষ্টি এলে ভিজবো আমরা শ্রাবণ সন্ধ্যার দিনে
রাগলে তুমি এনে দেবো হাওয়াই মিঠাই কিনে,
হঠাৎ করে রক্তজবা গুঁজে দেবো তোমার কোমল চুলে
ভেবেছিলাম কদম এনে দেবো তোমায় যখন তারা ফুটে
শুনতে চেয়েছিলাম কতশত মিষ্টি শব্দ আছে তোমার ঠোঁটে।
নব্বই দশকের প্রেমিকের মতোই তোমায় নিয়ে দেখতে চেয়েছিলাম পূর্ণিমার চাঁদ কেমন করে উঠে
শান্তি খুঁজে নিতাম আমি হাসি যখন ফুটতো তোমার ঠোঁটে,
তোমায় নিয়ে ছবির মতো প্রেমের স্বপ্ন ছিলো –
বুঝিনি কেনো সেই ছবিতে আধুনিকতার কালি ঢেলে দিলে
ছবি থেকে সুখের মতো পালিয়ে গেলে আধুনিকতার ছলে
কাঁচে ঘেরা ঘরের চেয়ে শান্তি কি ছিলো না বৃক্ষ ছায়া তলে ❓
আধুনিকতার মাঝেই কি তুমি সুখ পেয়েছিলে ❓
আধুনিকতার চাকচিক্যময় জীবন কি হয় স্থায়ী ❓
সম্পর্কের মূল্য দিতে গিয়ে নব্বই দশকের প্রেম চেয়ে আমার এই স্থায়ী দুঃখে জন্য আমিই হয়তো দায়ী।
পারতে নাকি তুমি – একটুখানি নব্বই দশকের প্রেমিকার মতো হতে, তাহলে হয়তো আধুনিকতার মাঝে ও আমরা থাকতাম একইসাথে,
জীবনটা হয়তো কাটিয়ে দিতাম হাত রেখে হাতে
চাকচিক্যময় জীবনের চেয়ে সাদামাটাই ভালো
হোক না – সেটা রঙিন যুগে একটু সাদাকালো।