বুকপকেটে কাগজমোড়া খিদে নিয়ে হাঁটি
আমার দুচোখ ভরা শূন্য শহর,
মাথার ভেতর গুলিয়ে ওঠা বিষাক্ত এক নীল
ফুসফুসে সব অনাদরে জমতে থাকা অসুখ কিছু
হাওয়ার তোড়ে পাঞ্জাবিটা উড়ছে যেন-
উড়ছে সেথায় আমার মাঝের সবটা আমি।
রোদের তেজে পুড়ছে পিঠের চামড়াটুকু
অবহেলা জমতে জমতে চোখের নিচে রাতের কালো।
এই এতটা পথের শেষে হাতের তালু শূন্য আজও
এই এতটা ব্যস্ততাতেও পালিয়ে গেলো সবটা কাজও।
ভূমিকম্পে ঘুম ভেঙে যায়-
রিখটারে তার মাপটি কত?
বুকের ভেতর শীলার স্তরেই
কেঁপে ওঠার আঘাত যত।
একটা করে খসে পরে দূরের তারার বকুলমালা
একটু করে শূন্য হয়ে বাড়ায় শেষে আমার জ্বালা।
জানালাটা বন্ধ থাকুক
নাই বা আসুক রোদের রেখা-
নাই বা পেলো এ দুটো চোখ
একটিবার তাহার দেখা।
প্যালিন্ড্রোমিক দুঃখগুলো একটু হলেও সয়েই গেছে
সুখগুলো তার চোখের মত অশ্রু নিয়ে বয়েই গেছে।
বাদল আসে, ফের চলে যায়
ক্যালেন্ডারে দাগ থাকে না,
অভিমানী মনটা পাথর
সে পাথরে রাগ থাকে না।
বুকপকেটে কাগজমোড়া মস্তবড় খিদের পাহাড়
পেটের ভেতর ভাতের খিদে, ওষ্ঠদ্বয়ে তৃষ্ণা তোমার।