শেষ সিগারেটের ফিল্টারটা ছাইদানিতে গুঁজে দিতে দিতে-
তোমার কথা ভাববো হয়তো কোন এক বিকালে।
কঠিন কঠিন কবিতারা তখন আর জ্বালাবে না
পোর্সেলিনের ফুল দানিটা ফাঁকাই তখন বহুদিন,
কালো লম্বা সড়কেরা থামবে না আর তোমার বাড়ির সদর দরজায়।
ঘড়ির কাঁটা বিঁধবে গলায় মাছের কাঁটার মত-
বাতাস আর জলের বদলি আগুন, ধোঁয়া, ছাই-ই খাব
মুঠো মুঠো সময় খাব, চিবিয়ে খাব মগজে জমা ধুলোর প্রাসাদ!
আঙুল ফাঁকে তোমার দেয়া মৃদুমন্দ সুবাস অতীত,
এখন সেথায় ছাই মেশা এক স্মৃতির গন্ধ।
বুকের মাঝে তোমার গড়া ফুলবাগানে জমাট জমাট ছাইয়ের স্তুপ!
নিজেকে জলজ্যান্ত এক ‘অ্যাশট্রে’ মনে হয় আজকাল—
সবাই সবার ছাইয়ের রূপে স্মৃতি পোড়ায়, জমায় সেথায়
আমিও জমাই, জমতে জমতে বিশাল পাহাড়, এভারেস্ট?
ছাই জমে যায়, কেউ কি জানে ছাইয়ের মত দেখতে ওসব-
আসলে সব মন ভাঙার গল্প ছবি?
কেউ কি জানে অশ্রু মত দেখতে ওসব চোখের কোণে
বিষাদ ফোঁটা… বিষের ফোঁটা?
ফুসফুসে জমতে থাকা রোগগুলো সব, নাই বা জানুক!
নিজেকে জলজ্যান্ত এক ‘অ্যাশট্রে’ মনে হয়—
পুড়িয়ে দিয়ে সকল কিছু ছাইগুলো সব রেখে গেলে স্মৃতির মত!
আঙুল ডগায় শব্দগুলো জমছে ভীষণ, মুক্তি চাইছে
লিখতে আমার ভাল্লাগে না… শব্দ ভীষণ মাথার ভেতর-
সড়কবাতির আবছা আলোয় শীতের রাতে জুবুথুবু।
নতুন কিছু ভাবতে ভীষণ ক্লান্ত লাগে
অ্যাশ-ট্রে জুড়ে পোড়া স্মৃতি, মগজ জুড়ে বিদ্ধ আকাশ
খসে পরা পলেস্তারা সময় জানে, রোজ আঁধারে-
শেষ ট্রেনটা যতক্ষণই হোক না দেরী, স্টেশন ছাড়ে… ছাড়তেই হয়…।।