‘ভালোবাসি’ বলার মত যার কেউ নেই
তারচেয়ে একা, ঢের একা কি কেউ আছে?
নগরের কোণে কোণে সাজানো যে গাছ
কৃষ্ণচূড়ারা, এমাথা-ওমাথা আটকে রাখা
ইলেক্ট্রিকের নিরস খুঁটির গল্পখানেক
সেও তো শোনে- মন দিয়ে!
তাকে কেউ শুধায়, শোনো- এই শহর গিলে ফেলে সব,
গিলে না শুধু দুঃখের বৈভব!
এ শহরের নক্ষত্রগুলোও একা একা জ্বলে
দেয়ালে মাখা দুঃখ ভাসে নর্দমার জলে।
জীবনটুকু শুষে নিয়ে দুঃখ বিলায় আজলা ভরে,
বাঁচতে হলে মুখোশ নিয়ে বাঁচা লাগে এই শহরে।
এ শহর কারও আপন নয়, কেউ তারে করেনি আপন
কাছে এলে দূরত্ব বাড়ে, ভেঙে যায় মন।
মন কি আর কাঁচের মত ঠুনকো কিছু? হয়তো তাই!
তারও তো লাগে শোনাবার মত কেউ
যে কেবল শুনেই গেলো সারাজীবন-
পুষে রাখলো দুপুরের মত দীঘল বিষাদ-ঢেউ!
হাঁটতে হাঁটতে নিঃসংকোচে ‘ভালোবাসি- ভালোবাসো?’
বলে ফেলার মত একান্ত আপন কোন ছায়া
তারও তো লাগে!
যার কেউ নেই সে দুপুর পোষে মনে- খুব গোপনে
মধ্যদুপুরে নিজের ছায়াও আর থাকে না
জড়িয়ে থাকা মায়াগুলোও আর কাটে না
অশ্রুগুলো শুকিয়ে ফেলে হলদে রোদে-
শুধু দুঃখগুলো জিইয়ে রাখে যত্ন করে মনের ভেতর।
এই শহরে দুঃখ পোষার জায়গা কই?
মনের ভেতর দুপুর পুষেই আর কি আছে জায়গা ফাঁকা?
দুঃখগুলো যত্ন করে রেখো শহর
লাগবে যখন আমিই চাবো, চেয়েই নিবো
তখন নাহয় দ্বিগুণ করেই ফিরিয়ে দিও!