সে আর আসতেছে না। পুনরায় ফেরার বাসনায় কতদিন কতবার দেহ রেখে প্রাণ নিয়ে চলে গিয়ে ইদানীং কেন কবিতা বিবন্ধুসুলভ? আমি তো তাকে মধু, চিনি, নুনের মতো নয়; ভালোবাসার মতোই ভালোবাসি। কোনোদিন জোর করিনি – একদিন মেঘ, মেঘঘটিত হাওয়া, তার পোশাকআশাক, সাজগোজ, অগোছালো ওঠা-বসা-হাঁটা আর নির্জনতারা আমাকে নির্লজ্জ করেছিল বিধায়, বলে ফেলেছিলাম, ‘দিবা?’
‘দিবা?’র উত্তর ‘বাসায় যাওয়া দরকার… রাস্তায় সম্ভবত জ্যাম… মিনিমাম একঘণ্টা লাগবে… সন্ধ্যা ওভার হয়ে গেলে মা রাগ… আসি… হ্যাঁ…’ দিয়ে নিজেই দরোজা খুলে সেই যে গেল!
অই সময়ের পর থেকে ক্রিয়াপদের সামান্যতম গন্ধ আছে – এমন যে-কোনো প্রশ্ন তার মুখ থেকেই প্রথমে আসুক আশা করে আছি!
কবিতা কি আসবে না?
আমি এখনো আগের মতোই কাগজ-কলম পকেটে নিয়ে ঘুরি, বালিশের বাম পাশে রেখে জেগে থাকি, ঘড়ি দেখি না, গড়াগড়ি দিই… ঘুমাই!