মার্টিনের কথা মনে ভেসে আসে।
পৃথিবীর শেষ জলে ভাসা উত্তাল কাঁপা জাহজের উঠোনে-
বিকেলের রঙে আসে যে ঝড় ভেসে,
তার হাওয়া যেন আঘাত হানে বুকে আবার-
মার্টিন ছাড়ার তিন বৎসর পর!
নাফ নদীর ঘোলা জলে-
যেখানে, হাঙর আর শুশুক শাবক মিলেমিশে খেলা করে,
মোহনা পেরোনোর পর,
ঘোলা জল এসে মিশিয়াছে নীলে-
গাঢ় ঘন নীল-
বিষাদের রঙ যেমন-
এমন নীল পৃথিবীর বুকে খুব বেশি নাই আর !!!
জাহাজের উঠোন ঢাকে গাঙচিলের ভিড়ে,
হাজার হাজার গাঙচিল ক্যারিবীয় সমুদ্র থেকে আসে ভেসে-
বঙ্গ সমুদ্রের নোনা হাওয়ায়
পৃথিবীর মানচিত্র আঁকা ডানা খেয়ালে বাড়ায়
আমায় ডেকে নিয়ে যায় জেটি ঘাটে আবার-
সমুদ্রজন্মে এমিবার বিশ্বাসঘাতকতার কয় কোটি লক্ষ বৎসর পর!
কিংবা, সন্ধ্যায়-
যখন এপোলোর রথ অলিম্পাসে ফেরে-
সমুদ্র গিলে নেয় সূর্য!!!
আর পৃথিবী কন্যা হাসে,
তারাদের দেশে
দুধের সরের মতো রূপ তার-
মার্টিনি জলে খেলা করে।
রাত নেমে এলে-
প্রাক্তন প্রেমিকার সাথে যে পাখি চলে গেছে,
পালক ফেলে দূরে; বহু দূরে-
সমুদ্রলতায় তার কান্না ভাসে
সেই শব্দে-
সামুদ্রিক কাছিমেরা ডাঙায় উঠে আসে।
তখন খুব নিস্তব্ধতায়-
মার্টিনের কান্না শোনা যায়!!!
সমুদ্রশ্রু ভেসে ভেসে যায় হাওয়াই উপকূলে-
ঘুম ভেঙে জেগে উঠে দেখি,
সাড়ে সাত লাখ শামুক আছে মরে,
এতো এতো রঙ,
সাড়ে ছয় বছরের শিশু তায়-
মালা গেঁথে নিয়ে গেলো ঘরে।