Review This Poem

গীর্জাঘরে ধর্ষিত হচ্ছেন মরিয়ম!

ম্যাগডালিন নাকি ম্যাডোনা-
তা নিয়ে প্রশ্ন করলোনা কেউ-ই!
কাঠের নিষ্প্রাণ ক্রুশবিদ্ধ যীশু-
ঝুলছেন তার ভেড়ার পালের মাঝের ছদ্মবেশী নেকড়ের গলায়!

এ মরিয়ম কে—— মা নাকি প্রিয়তমা,
কিছুই ঠিক করতে পারছেন না তিনি!!!

হতভম্ব গলায় মুখস্থ বলে উঠলেন,

“পিতা এদের ক্ষমা করো-
এরা কি করছে এরা তা জানেনা!!!”

পিতা তাকিয়ে আছে পুত্রের দিকে!
পুত্র তাকিয়ে আছেন নেকড়ের দিকে!
নেকড়ে তাকিয়ে আছে মরিয়মের স্তন আর যোনীর দিকে।

নেকড়ের হাসি বেড়ে যাচ্ছে।
ক্রুশ ভিজে যাচ্ছে যাজকের বীর্যে!!!
নাহ, গেলাসে গেলাসে যীশুর রক্ত পান করেও কোন লাভ হয়নি তার-
লাভ হয়নি যীশুর মাংস চিবুনো রোববারেও!

ক্রোধান্ধ পিতা শুধোলেন তার প্রিয়তম পুত্রকে,

“এদেন উদ্যান ফিরিয়ে দিই, কি বলো হে ছোকরা!”

যীশু অপমানে নিশ্চুপ হয়ে রইলেন!

কাঠের ক্রুশ দুলতে থাকলো নেকড়ের কোমড়ের ছন্দে-
যীশুর হাত থেকে রক্ত ছিটকে ছড়িয়ে যাচ্ছে মরিয়মে শরীরে!
নাকি অশ্রু-
এ কি গলগাথা নাকি গেৎশিমানী!!!
এতো কষ্ট খুব সম্ভবত-
ছিলোনা ভিনেগারে দু সহস্র বৎসর আগেকার দুপুর আড়াইটার চুমুকেও!

কাঠের ক্রুশবিদ্ধ যীশু নিশ্চুপ হয়ে দুলতে লাগলেন-
পিতার মতোই নীরবে দেখে গেলেন তার মানবের মনুষ্যত্ব!

আর কতোবার মৃত্যু হলে মানুষের মুক্তি সম্ভব!

আসলে, শেষ মুহুর্তে এসে যীশু জানতে পেরেছিলেন, ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার দুহাজার বৎসর পেরুলেও আসলে কারো কোনো লাভ হলো না!

guest
0 Comments
Newest
Oldest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments