সমুদ্রের পাঁচিলে পা ঝুলিয়ে ছিলাম আমরা দুজন।
তোমার কন্ঠে, মৌসুমী ভৌমিকের –
“আমি শুনেছি সেদিন তুমি সাগরের ঢেউয়ে চেপে নীল জল দিগন্ত ছুঁয়ে এসেছো!”
আমি সমুদ্রের দিকে তাকাই!
না, জল তো নীল নয়-
বরঞ্চ খানিকটা ঘোলাটে!
নিচে অজস্র পাথর!
ঢেউ আছড়ে পড়ছে পাথরে।
আমরা তাকিয়ে আছি দিগন্তে,
সেইখানে-
যেখানে জাহাজের বাতির সাথে অজস্র গাঙচিল খেলা করে।
প্রচন্ড বাতাসে উড়ছে তোমার চুল-
আমার মুখে এসে পড়ছে গোটাকয়েক তার!
আমি সম্ভ্রমে মুখ নামিয়ে দেখি-
ধূসর পাথর আর ঢেউয়ের উপর নাচছে তোমার পা-
সমুদ্র ভীষণ গর্জনে ছুঁইতে চাইছে;
অথচ, এড়িয়ে যাচ্ছো তুমি।
কৈশোর বয়েস আমার!
আমি চাইছিলাম-
প্রাণপণে চাইছিলাম,
প্রচন্ড ঝড়ে খসে পড়ুক তোমার বার্মিজ স্যান্ডেল।
পাঁচিল থেকে লাফিয়ে নেমে আমি কুড়িয়ে এনে দিই চটিজোড়া।
তুমি বাহবা দিয়ে চুলে বুলিয়ে দাও হাত; কিংবা-
আমার বোকামি দেখে হেসে বলো-
“তোমার পাগলামো!
দেড়শ টাকায় ওসব এখানেই মেলে-
যদি ভাঙতো পা!”
না, বার্মিজ স্যান্ডেল জোড়া খসে পড়েনি সেইদিন!
না খসেই বরঞ্চ ভালো হলো।
আমাদের দেখা হলোনা পৃথিবীর কোন সমুদ্রেই আর!
ভবিষ্যতেও হোক; এমনটাও চাইনা!
আমি শুধু চাই,
অনুর সাথেও আমার বসা হোক সমুদ্রের পাঁচিলে-
এবার তার পায়ের থেকে খসে পড়ুক বার্মিজ জুতো!
2020-11-23