আমি কই যাই!
কি করি!
কর্ণেলিয়াসের মৃত্যুর পর আমি শপথ নিয়েছিলাম,
“আত্মহত্যা করবোনা”
স্বেচ্ছামৃত্যুর দিকে এগোতে গেলেই-
দৃশ্যগুলো চোখে ভাসে,
শপথ মনে আসে।
কিন্তু, এইভাবে কি বাঁচা যায়?
একটা বিশাল শূণ্য হয়ে আদৌ কি বাঁচা যায়?
উচিত!!!
কিচ্ছু হলোনা আমার-
কিচ্ছুই না!
এই কুৎসিত খোলসটা সম্পূর্ণ খালি-
একটা শূণ্য!!!
বালের শহরে গায়ে উঠে পড়ার মতো একটা ট্রাকও কি জোটেনা?
মৃত্যু দরকার!
খুব দ্রুত দরকার!
অনেকের গল্প বলার ছিলো-
তুলে রেখেছি,
সযত্নে!
অন্য কারো কাছে পোঁছে যাবে ঠিকই!
আমার মৃত্যুর পর!
আমার মৃত্যুর পর আমায় শেষ দেখা দেখবার সৌভাগ্য জানি-
কোন প্রেমিকার নেই!
আমি প্রেমিক হতে পারিনি,
আমি কবি হতে পারিনি-
ইদানিং আমার মনুষ্যজন্ম নিয়েও সন্দেহ হয় প্রায়ই!
এই কি বেঁচে থাকা!
এইভাবে কি যুগের পর যুগ বাঁচতে হবে!
একটা স্বাভাবিক মৃত্যুর খুব দরকার!
হে আদিম মৃত্যু দেবতা,
আমায় মুক্তি দাও!
এই সুন্দর পৃথিবীতে আমি অসুন্দরের জন্ম ভুল করেই হয়েছিলো।
আমি সত্যিই যেতে চাইছি-
আমায় যেতে দাও!
মহাজন,
মুক্তি দাও।
সুদের পয়সা নেই।