Review This Poem

কিছুই ভাবিনি তোমাকে নিয়ে, অন্যরা যেভাবে ভাবে রক্তের গভীরে
আমি তাঁদের মতো ক’রে ভাবিনি তোমাকে, নিদ্রাহীন সারারাত কেটে গেল
আমার ভাবনার জগতে তাঁদের গেঁথে রাখি আপন ক’রে, রক্তের নিবিড়ে,
আপন আর পরম সম্পর্কে, উষ্ণ ভালোবাসা জমা থাক তাঁদের জন্য যারা আমার
রক্তে মিশে দিয়েছে বিচ্ছেদের অমল সুর, কোমল স্পর্শময় আঙুলে গেঁথে রয়

নীলবীথি গভীর শূন্যলোক, নিসর্গের বিষাক্ত ছোঁয়ায় মিশে থাকে তীব্রভাবে;
আমার সবুজ বু’কে ব’য়ে চলে পালতোলা নৌকা তার আপন গন্তব্যেয়-
শিশিরের সৌন্দর্যের বিন্যাস অনেক গেয়েছি আমার সমস্ত কবিতা জুড়ে,
গলিত চাঁদের সৌন্দর্য অনেকবার খ’সে গেছে তাঁদের পরম ভালোবেসে

কবিতার পঙক্তিতে জড়ো হয় গাঢ় মেঘমালা, মায়াবী সেই জ্যোতির্ময় প্রোজ্জ্বলে
নিসর্গমালা বিছিয়ে দিলাম দু’চোখের ভিতর চন্দনের সুবাতাস কোমল ঠোঁটে
ব’য়ে চলে পলিমাটি ভেদ ক’রে গভীর রাত্রিতে নক্ষত্রপুঞ্জের দিগন্তে;
রোদনরূপসী, কে তুমি আমার হৃদয়স্পন্দন ? রৌদ্রে ঝ’রে প’ড়ে উজ্জ্বল সৌন্দর্য !
স্মৃতির ঐশ্বর্যে লুকিয়ে থাকে কী বিস্ময়, আমার ভাবনার গোপন নিশীথে;

বিস্ময় জাগায় বিমর্ষ চিত্তে, উজ্জ্বল আঙুলে গেঁথে থাকে গাঢ় বৃষ্টি তার নিসর্গে
অন্তহীন স্নিগ্ধ জ্যোৎস্নায় আমার করতলে প’ড়ে রয় হারানোর অলৌকিক নদীতে;
পবিত্র শিশিরে ধু’য়ে যায় আমার সকল ক্ষতের দাগ সোনালী মধ্যেদিনে
আমার শরীরে ব’য়ে চলে আদিম উৎসব নিসর্গের প্রাত্যহিক সম্পর্কে,

নিদ্রাহীন আমি সারারাত প’ড়ে রই অপার্থিব সৌন্দর্যের কোমল বু’কে,
নিমিষে গাঢ় মেঘমালার উত্তাল ঢেউ খেলা ক’রে আমার স্বপ্নের চতুর্দিকে
ভুলে গেছি সাতারের সমস্ত কলাকৌশল, বাঙলার বিস্তৃত নদনদীতে;
আঁকা-বাকা দৃষ্টি ফিরে আসে জীবনের বিবর্ণ শব্দহীন ছায়াচ্ছন্ন অন্ধকারে,

কোমল রৌদ্রের আভা মিশে থাকে ভোরের শিশিরে, জলে আর ফাল্গুনীর আকাশে-
জ্যোৎস্নায় ভেজা ঠোঁটে রেখে যাব নিঃসঙ্গতা, স্তব্ধতা-অলৌকিক অতীন্দ্র-শুভ্রতা
শ্যামল নীলবীথি নিবিড়-নিঃসঙ্গ সন্ধ্যায় তোমার অম্লান কেঁপে উঠা আঙুলে।

guest
0 Comments
Newest
Oldest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments