বুদ্ধের মতো বসে আছি,
চোখ বন্ধ, শিড়দারা সোজা,
হাটু ভাজ, হাতের উপর হাত।
এভাবেই বসে আছি
কেটে যাচ্ছে দিন রাত।
বৌদ্ধ ভিক্ষুকের থেকেও ভালো
পিতা মাতা নামের দুজন মহৎ মানুষ
খাদ্য দান করেন।
আমি ধ্যানে আছি,
প্রভুর সুনিয়ন্ত্রিত সৃষ্টিতে….
এখনো তান্ডব করিনি!
ছন্দের রেসে বসে আছি
কখনো দেখছি কপালের ঠিক মাঝে
(রূপা,যেখানে লাল টিপ পড়েন)
সেখানে সূর্য অনল বৃত্ত,
জলের তরঙ্গের মতো উদ্দীপন
হঠাৎ গোলাপ হয় পাঁচটি পাপড়ির।
বুদ্ধের মতো বসে থাকি,
প্রভুর সাথে সাক্ষাৎ জরুরী
ছোট পরিসরে হলেও
একটা মিটিং দরকার।
বাঁচার মানে খুঁজে পাই না বলে,বসে থাকি,
এই শহরকে,কল্পিত পাথরের পাহাড়ি দ্বিপ ভেবে।
শীড়দারা বেয়ে হীমেলের ঝর্ণা প্রবাহিত হয়।
হে প্রভু! এতোটা সুখি কেন আমি?
এতো সুখে যে,মানুষ আত্মহত্যা করে।
কেউ কবিতার সুখে ট্রামের তলে
জীবন বিলিয়ে দেখে,
বালিশের কাছে বাতাবি লেবু ছাড়া
আর কে আসে?
কোটি শ্রোতা ভক্তের কানে
সিন্ধু হিন্দল দোল দিয়ে,
রকস্টার খেতাব নিয়ে
কেন নিঃসঙ্গতায় বাম হাতে সুঁই ফোড়ায়?
একী অতিরিক্ত সুখের কারণ নয়?
একী জগতের প্রতি বিশ্বাস হারানো নয়?
একী তোমার সৃষ্টির ছন্দে টলে যাওয়া
বাতিল শব্দ?
তোমার সৃষ্টির ছড়ায়
সুখিরা নাম কাটিয়ে মাটি হন
সুপ্ত শব্দ হয়ে থাকতে হয়?
বুদ্ধের মতো বসে থাকি
বুদ্ধ বসে না থাকলে কী আমিই প্রথম
এভাবে বসে থাতাম না?
আমার ভিতরে বুদ্ধ,সৃষ্টি,সমাজ,ধর্ম?
নাকী বুদ্ধের ভিতরেও আমিই ছিলাম।
যদি কথা হয় প্রভু!
অলসতার খোলস খুলে,ছুটি নেবো ছুটি!