ঝং ধরা গাছের বিপরীতে একটি আদিপিতা প্লেকার্ড হাতে মরা বিল্ডিংয়ের মতো দাঁড়িয়ে আছে!
যার রক্ত বয়ে গড়িয়ে পরেছিলাম এই আমি!
আঁশটে ভাঁজা ঋতুর কপাট খুলে
বাবুইতুলসীর দরবারে
সে আমায় স্বাগতম জানিয়েচিলো।
গোল টেবিলে আমার মুখমুখি হয়ে
অঙ্করমানচিত্র ছিঁড়তে ছিঁড়তে শুকরের গন্ধে হাওমাও করে কেঁদে শরনার্থী আরাকানি আয়ুকালের নারি চাটছিলো——
পিতা আমাকে মাঝেমধ্যেই রাইফেলের আত্মজীবনী বলে ঘুম পারিয়ে
ভাতের প্লেটে তবলা বাজিয়ে
যাপিত স্মৃতি পুরিয়ে ইটজাহাজ বানাতো!
সকালে ঝলসানো নীলমরিচ প্লেট ভোরে সাজিয়ে বোলতো
এই নে বাবা, তোর নাস্তা।
হাত দিয়ে আকাশ ঠেলে সরিয়ে
নীলমরিচ তীক্ষ্ণ কচুপেটে ঢুকিয়ে নিতাম।
পাখিরা টাকা বলে চিল্লানি দিলে, পিতার কষ্ট হতো!
পাপীদের যত উল্লাস
এক মশাচিত্রে দেখিয়ে আয়ুকালের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতো।
পিতা ঝলসে মোমের মতো গড়িয়ে যাচ্ছে।
মিমের মতো দাঁড়িয়ে থাকা সুতাটাও
পিতার পিছু পিছু এসে বয়কটকণ্ঠে বলছে—
আমি ব্যর্থ!