2.1/5 - (19 votes)

সুতনু, আমি আর পারছি না
তোমার যে চোখ দুটো আমাকে দ্রোহের শক্তি যোগাত,তা অমন ঘোলাটে, নিস্প্রাণ মীনচক্ষু কি করে হল?
তোমার বুকের ভেতরের যে উত্তাপ
আমার শিরায় শিরায় দ্রোহের আগুন জ্বালাত
তা এমন যজ্ঞশেষের পোড়া ছাই হয়ে
কেন আমার শরীরে লাগাল কলংকের দাগ?

মনে পরে সুতনু, সেদিন যখন এই আধখাওয়া সিগারেটের মত ক্ষয়ে যাওয়া সমাজ আমাদের চুম্বন দোষে দোষী করেছিল, তুমি চিৎকার করে বলেছিলে
“দহন, ওরা আদায় করে নেয়া বোঝে, সম্মতি বোঝে না,ওরা প্রেমিকার প্রেম আর লম্পটের লালসার পার্থক্য বোঝেনা”

সেই তুমি এত বরফ শীতল হয়ে কি করে আছ?
কেন দিলে আমায় এমন শীতলতার শাস্তি?
জানো সুতনু, আজকাল নিজেকে হিমঘরে রাখা লাশের মত মনে হয়।
আমায় আবার একটু আগুন দেবে, সুতনু
আমি যে তোমার দহন
আমায় যে জ্বলে উঠতেই হবে
রাবণের চিতার চেয়েও বেশি দহন জ্বালা নিয়ে আমায় যে জ্বলতেই হবে
এই আধপোড়া সমাজটাকে পুরোপুরি পুড়িয়ে
ফিনিক্স হয়ে আমি উড়ে যাব উত্তরের আকাশে
যেখানে শান্ত তপস্বীর মত তুমি জ্বলছো ধ্রুবতারা হয়ে।
তবে সে জ্বলনে উত্তাপ নেই, শুধু আলো আছে
তোমার চোখের তারার আলো , যে আলো দেখে শত শত দহন দীক্ষা নিতে পারে বিদ্রোহের মন্ত্রে।

guest
0 Comments
Newest
Oldest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments