সেদিন যখন কিশোরীটির হাইমেন ছেড়ার আর্তনাদে ঘুম ভাঙ্গল
বুঝেছিলাম শুরু হয়ে গেছে পর্ণমোচীর মৌষলকাল
রাগ, দুঃখ, হতাশা হয়েছিল কিছুক্ষণ
কিন্তু তা ছাপিয়েও মনে জেগেছিলো এক বিস্বাদ
নিরাপত্তার অনুভব।
আর যাই হোক আমি তো কৃষ্ণচূড়া নই।
সজীব কৃষ্ণচূড়ার মত সদ্য ঋতুমতী কিশোরীর
দেহ, যেসব রাক্ষসদের রিরংসার বস্তু
তাদের থেকে মুক্তি পেয়ে গেছি আমি।
আমি জেনে গেছি প্রেমের চেয়ে ক্ষুধা বেশি বাস্তব।
এইতো সেদিন কৃষ্ণচূড়ার ডালে ঝুলছিল এক কিশোরীর সদ্য গজানো স্তন।
বাদামী রাঙা সে স্তন আমাকে চুপি চুপি বলেছিল
“রিরংসার কোন শেষ নেই , রাক্ষস বদলায় কিন্তু রিরংসার বদলায় না”
তারপর থেকে ঘুমোতে পারি না ঠিক করে
চোখ বন্ধ করলেই দেখতে পাই কিশোরীটির
কৃষ্ণচূড়ার রঙে রাঙানো যোনী।
তারপর হঠাৎ একদিন এক কমিউনিস্ট প্রেতাত্মা আমায় ডাকল ঘুমের ঘোরে ,
বলল, ” শুধু অন্ধকার আর রক্তের স্বপ্ন কেন দেখো?প্রেম দেখতে পাও না তুমি”
আমি বললাম “কোথায় প্রেমিক পাচ্ছো তুমি?
চারিদিকে শুধুই আছে ক্ষুধায় জর্জরিত কিছু শ্বাপদ।