পাঁচিলের গায়ে রেঙে ওঠে প্রিয় দেশ।
তুমি বলবে না কোনও কথা কিচ্ছুটি,
বোবা সুতো ঠোঁট স্রেফ দেখে যাবে শেষ
নেতা বুঝে নেবে ভোট, বিধি বিচ্যুতি।
নাম জানে, তুমি নাগরিক নাকি আশ্রয়?
মুঠো জানে শত নথিহীন ভুখাপেট,
আদেশের অপঘাতে সাময়িক এ জয়
বেয়নেট ঢেকে ক্ষত কতোদূর লুকাবে?
‘যতদূর দু’চোখ যায়…’ প্ররোচিত প্রবাদ
বিশ্বাসে না মিললেই লাঠি, গুলি, ঘৃণা।
মোমবাতি হেঁটে যাওয়া শত শোকসভা,
ফলকে কবরে বাঁচে পরিচয়হীনা।
তুমি ঠিক বেঁচে থেকো নিথরে নীরবে,
ঠোঁটে সুতো না থাকলে বেঁধে নিও নিজে।
নতুবা হিংসা পথ, যোগ দিয়ে মবে
অপলক চোখ রেখো পদবীতে, ফ্রিজে।
যে সব ফ্রীজের নাম কিছুই মানি না,
যে সব পদবী থেকে উঠে আসে মুঠো-
পোশাকি শীলনে দেখো দেশপ্রেমী কিনা
লেঠেলে লেঠেলে এঁকো নিদারুণ ক্ষত।
পাঁচিলে পাঁচিলে তবু রেঙে ওঠা দেশ
ওপারে হেঁটে গেছে চিরবিরোধিতা।
আমি একা খুঁজে ফিরি ধ্বংসাবশেষ
মৃতদেহ বয়ে ফেরে কবর আর চিতা।