নিঝুম খালের প্রদাহে এটোঁপাতা ভরে গেছে – খাদের দাগে মরা বেলপাতা – জলের কাছে শুয়ে আছে কিম্ভুত মানুষের জ্বর । কিছুই করার নেই – পায়ের দাগগুলো ধুলোর সাথে উড়তে থাকে –
১
শাড়ি রঙের অজস্র পোস্টারে ধোঁয়ায় ধোঁয়াকার সাধারণ চোখ , হাঁটার শব্দরা মুক্ত হতে গোড়ালির আঘাত করে বিবর্ণ প্রতীক্ষায় ।
২
বাড়িগুলো সব শেওলাদের গ্রিনরুম – সেইসব মাছি উড়ছে নাভিবৃত্তে । ঝিলিক দিয়ে উড়ছে নোলক – ভাঙা মোরাম রাস্তার ধারে শিৎকারের শব্দগুলি চোখাচোখি এই দুপুরেও –
৩
কারা সরিয়ে রেখেছে সব ফুলের পাঁপড়ি – উপগত পাঁজরে মিথ্যুক কোলাহলের সোমত্ত দাঁত – সেই যোনির অন্তরে অতৃপ্ত রাজ্যপাট ।
৪
ছুটে আসছে দিশাহীন বাতাস – যদিও সেই খাঁচাটা শূন্য – সাদাকালো ছবির দরজায় ক্যাঁচক্যাঁচ শব্দ – দুপাশে জেগে উঠছে সব কমিসন খাওয়া অনুদান ।
৫
প্রতি গোধূলির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি আর ঘুমিয়ে পড়ছি আমাদের নদী হারানো ব্যথায় – চুপিচুপি ঢুকে পড়ছে বিজ্ঞাপনের নারী – কালো ত্বকের উপর ফরসা ক্রিম আর ধোঁয়া উড়ছে অমর্ত্য শ্রোণীতে –
৬
সাজানো বেলুনের গায়ে তাপ পড়তেই ফেটে যাচ্ছে হঠাৎই – সেই চমকে মুখ থুবড়ে পড়ে খেলনাপাতি – দেয়ালের ধারে জ্বলন্ত প্রদীপগুলি তীব্র হয়ে ওঠে – দাঁড়িয়ে থাকি সন্ধ্যার নিবিড় –
2022-11-13