ধূপ জ্বলনের নাম লিখতে চাইলাম নিঃশব্দ । কত পাখি উড়ে যায় – ভেঙে যায় শাখাপ্রশাখা – ঝরাপাতার সুর নিয়ে গােবিন্দদাদু ত্রিপদ হয়ে যান ।
ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা চড়াইয়ের সামনে জমিন পেছনে জোৎস্না । পাখিদের বিঘ্নময় উড়াউড়ি নিয়ে মানুষেরা দৌড়ে এগিয়ে যায় – রাতদিনের সঙ্গী ফুলপাতার দুর্দশা ; খসেপড়া পালক ভেসে যায় নােনা জলের দিকে – ডাক দেয় বাঁশের কাঠামো : আশ্রয়ের শিবচক –
খরাক্লান্ত বুকে তখনাে ধানি রঙের শাড়ি পরা বউ ; সাতভায়া পাখিরা নামে টলটলে জলমগ্ন অস্তিত্বের ঠিকানায় – এর কোনাে গােত্র নেই । ঘাম ঝরানো ধান আর ভাবীকালের রােদের জন্য মন কেমনের নির্ঝরতা – পিচ্ছিলে গােটা একটা পথ প্রস্তুত থাকলেও ঢেকে যায় নাম না জানা ঘাসের আদর –
অন্ধকারের কোনাে পুব দিক নেই – থাকে না বলেই তৃতীয় নয়ন নিয়ে জ্বলজ্বল করে কপালের ভাঁজ-
পশ্চিমের ঢালুতে কাদা জলের দীর্ঘতা ; ছায়ায় ঘরবাঁধা ক্লান্তিরা কেঁপে ওঠে নিজের বরফকাল নিয়ে – এমনই হয়েছে কত দিন – বৃষ্টি হয়নি , হাতের তালুতে অপেক্ষার ঝােপঝাড় ; ওপারে যাওয়ার শুকনাে হাঁটাপথ ক্ষতবিক্ষত – জেগে ওঠেনি কোনো মৃতদাগ । শুধু পেরিয়ে গেছে রােদের পৃথিবী – তারও দূরে প্রতিটি স্বপ্নের কচুরিপানা আটকে থাকে ভাঙা সাঁকোর নড়বড়ে পায়ায় ।