ছুটে চলে যাই-
গণিকার সালোয়ার, আলুলায়িত উরুর ভাঁজে-
যেইখানে ঋতুরসে ক্রমশই ভিজে আসছে দুর্বোধ্য আলোকোজ্জ্বল সন্ধ্যা।
ছুটে যাই; এইসব রাষ্ট্রতন্ত্র-মন্ত্র তোমাদের ঝংকার, সঙসদ-সভায়
সব ছেড়ে আশ্রিত হতে ছুটে যাই,
পতিতার মাজা উঁচু করা সায়ার তলায়।
এইসব উর্বার উদ্দীপনা- মেকি প্রতিযোগিতায় উড্ডীন ডাইনোসর-
এক্সাক্ট কাট মেরে রাস্তায় জ্যাম ফেলে জ্যামিতিক নকশায় বেরিয়ে যাই- উত্তপ্ত হুংকার ছেড়ে, ছেঁটে দিয়ে বাল-ব্লুপ্রিন্ট বিলুপ্ত ওঙ্কারে- আমি ছেড়ে চলে যাই; তোমাদের ছিমছাম কংক্রিট-কঙ্কালিক রাস্তা,
বিলাসবহুল ফ্ল্যাট-গাড়ি ও হালফ্যাশন নারী-
সব ছেড়ে, চলে যাই;
যেন ডাক আসে পশ্চিমা হাওয়ায়- আলুথালু চুল ফুলে ওঠা বারবনিতার
বারবিকিউ পার্টিতে,
চা ছেড়ে আমি রঙহীন হুইস্কি; ক্রোম্যাটিক কাচরঙে ডুবে যাই।
টুংটাং গেরস্থালির কবিতায়, কাভারের ফ্ল্যাপে-
পেপারব্যাক পেন্সিলে কেটেকুটে আমি দুর্লভ ভঙ্গিতে চোখ তুলি প্রজাপতির বিচিত্র শরীরে-
এইখানে একদিন শুককীট ডানা খুঁজে পেয়েছিলো-
এইখানে পরী তার ডানা খেউড়িয়ে ক্লেশেই ঢুকেছিলো পতিতালয়-
যেইখানে তরুণী পাখির চিৎকার ঝংকারে,
বারান্দায় মশহুর গোলাপ কেঁপে কেঁপে ওঠে-
মাগরেবি বাতাস কান ছুঁয়ে যায়-
কালো ক্লেদ নেমে কালোজাম রাত্তির চলে আসা মসজিদ মিনার ছায়ায়-
কবরের জবজঙ ঘাসেদের নিরব ভঙির মতো-
নিরবে নিবিড় চোখে আমি তাকাই নবনী’র উজ্জ্বল চামড়া ও মেমব্রেনে-
কালোজামা পড়ে নাচ-
ডবকার জৌলুশ আভায় প্রকাশিত সন্ধ্যার স্পার্কিত খাটিয়ায়।
ছেড়ে যাই; মসজিদের আযান, ছেঁড়ে চলে যাই- প্রেমিকার গোলাপ বাগান-
ছিনালের কন্ঠের মতো কর্কশ ধানক্ষেত-
মোলায়েম হেমন্তের রৌদ্র ও আভা-
নিচ্ছিদ্র ব্রোথেলের কুঠরী-এইসব ছেড়ে;
শুনি কাত করে কান-
শুনি ভোরের উত্তরীয় তুলে উড়ে যাওয়া পাখিদের গান।
সব শব ছেড়ে বাকোয়াজ সুর ধরে- ধরে ছন্দ ও তাল-
দুর্মদ আঁধারের মাস্তুলে আমি-
শ্বদন্তে ছিঁড়ে খাই, ভূমিষ্ট জরায়ুজ খর্বিত মাংস ও ছাল। জীবন;
আড়ষ্ট মৃতপ্রায় মাছির মতো ফুড়ফুড় আওয়াজ তোলে পাখনায়-
আমি দুর্বোধ্য ছুটিহীন প্রায়শ ছুটে গ্যাছি বিফল,
তোমার অলক্ষ্য কিনারায়; জানি নাই-মৃত্যু আর গণিকারা ছাড়া,কেউ থাকে না অপেক্ষায়;
সুনিপুণ বেণী বেঁধে হায়!
2020-08-28